প্রশ্নপত্র ফাঁস করে যে অবৈধ টাকা আয় করেছেন তা সব সব আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী।
রোববার (৭ জুলাই) রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আবেদ আলীকে জিজ্ঞেস করা হয়, গাড়িচালক হয়ে আপনি এত সম্পদের মালিক কীভাবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘গাড়িচালক ছিলাম ১৫ বছর আগে, এখন তো ব্যবসায়ী।’
প্রশ্নফাঁসে কত টাকা কামিয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আবেদ আলী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসে যে টাকা কামাই করেছি, সব খরচ করেছি আল্লাহর রাস্তায়।’
এদিকে, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (৭ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের পেছনে জড়িত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন উপপরিচালক মো. আবু জাফর, উপপরিচালক জাহাঙ্গির আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত সংঘবদ্ধ চক্রটি।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





























