শুক্রবারের প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের রেশ না কাটতেই শনিবার (২২ নভেম্বর) ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও তিনটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয় রাজধানী ও আশপাশের এলাকায়। ঘন ঘন ভূকম্পনের এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞরা এটিকে ভালো লক্ষণ নয় বলে সতর্ক করেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ৯১টি ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের তথ্য নিয়ে কাজ করা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম’।
রোববার (২৩ নভেম্বর) ওয়েবসাইটটির দুপুরের আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে আরও জানানো হয় গত সাতদিনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৮৫২টি ভূমিকম্প হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এরপর শনিবার প্রথম কম্পনটি হয় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নরসিংদীর পলাশে। সন্ধ্যায় ঢাকার বাড্ডায় দুবার ভূমিকম্প হয়।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, সন্ধ্যায় রাজধানীতে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এর ১ সেকেন্ড পর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর মধ্যে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাড্ডায়। আর ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা। শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পের ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি—পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভবন হেলে পড়ে এবং ফাটল দেখা দেয়।
































