২০ শর্তে শনিবার (২৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপি ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে বিশেষ সহকারী মোহাম্মদ নাজমুর রায়হানের সই করা লিখিত স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির শর্তে বলা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ২৮ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো। একই শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো
১. এ অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রের উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমতি পাওয়া স্থানের মধ্যেই সমাবেশের সব কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. দুপুর১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।
৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে- এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর কোনোক্রমেই কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা যাবে না।
১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেন কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না ।
১৪. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোন বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
১৯. উল্লেখিত শর্ত যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।






























