দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য সাহিত্য ক্যাটাগরিতে আমির হামজার নাম প্রস্তাব করায় তার ছেলে উপসচিব মো. আছাদুজ্জামান লঘুদণ্ড পেয়েছেন।
আছাদুজ্জামানকে তথ্য গোপনের অপরাধের জন্য তিরস্কার করা হয়েছে। অপরাধের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, আছাদুজ্জামানের বাবা আমির হামজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এ তথ্য গোপন করে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তার বাবার নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব পদমর্যাদা) মো. আছাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বাবা মরহুম মো. আমির হামজার ফৌজদারি মামলার দণ্ডপ্রাপ্তির তথ্য গোপন করে তাকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ প্রদানের জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সুপারিশ নেন, যা অসংগত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলা হয় ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানিসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে তাকে তিরস্কার নামীয় লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।
চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেখানে ১০ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। সাহিত্যে প্রয়াত মো. আমির হামজার নাম ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণার পর আমির হামজাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সাহিত্যিক ও পাঠকমহলে একেবারে পরিচয়হীন এ ব্যক্তিকে নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়। পরে অবশ্য আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়।