দেশে মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে। তাতে এই চিত্র উঠে এসেছে।
দেশের মোট জিডিপি নির্ণয়ের জন্য নতুন করে ২০১৫-১৬ কে নতুন ভিত্তিবছর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন ভিত্তিবছরের হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর আগে ২০০৫-০৬ সালকে ভিত্তিবছর হিসাবে গণনা করা হতো।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জানায়, এক অর্থবছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২৭ ডলার।
এছাড়া ২০১৫-১৬ ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করায় আগের কয়েক বছরের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। নতুন হিসাব অনুযায়ী, তা হয় ১ হাজার ৭৩৭ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২৪ ডলার। পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ ডলারে। এরপর প্রতিবছরই মাথাপিছু আয় বেড়েই চলেছে।
মাথাপিছু গড় আয় বলতে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত আয়কে বোঝায় না। বরং একটি দেশের মোট আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে দেওয়া হয়।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, “মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক দিক হলো, অর্থনীতি গতিশীল রয়েছে। সাধারণ মানুষ লাভবান হচ্ছেন। তবে তা দরিদ্র দশা থেকে উত্তরণে ভূমিকা রাখছে কি না, তা তদারকি করতে হবে।”