বিদেশে পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি পি কে হালদারের ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, বিভিন্ন ব্যাংকে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেন এবং ১ কোটি ১৭ লাখ ডলার কানাডায় পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বুধবার দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিনের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। শিগগিরই বিচারিক আদালতে এ চার্জশিট পেশ করবে সংস্থাটি।
চার্জশিটে প্রশান্ত কুমার হালদার ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন প্রশান্ত কুমার হালদারের মা লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। চার্জশিটে এবার আসামির সংখ্যা বৃদ্ধি পেল।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ফ্রিজ করেছে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উক্ত অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং-সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।