কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, “আমরা নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য পাঠে অনুপ্রাণিত করব। একজন লেখক হিসেবে পুরস্কৃত হয়ে আমি মনে করি আমি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব।”
সেলিনা হোসেন আরও বলেন, “আমি নিজেও আজ নতুন কিছু করার উৎসাহ নিয়ে ঘরে ফিরব।”
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেন এসব কথা বলেন।
এর আগে সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের রাখায় এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পান সেলিনা হোসেন ও ফাতেমা আবেদীন। ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ দেওয়া হয় তাদের।
এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ পুরস্কার পেয়েছেন প্রবীণ কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। তার সঙ্গে নবীন সাহিত্যশ্রেণিতে (অনূর্ধ্ব চল্লিশ বছর বয়সী লেখক) ফাতেমা আবেদীন এ বছর তার ‘মৃত অ্যালবাট্রস চোখ’ বইটির জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুরস্কারের জন্য গঠিত বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি, খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
হুমায়ুন আহমেদ রচিত ‘তুমি চলে এসো এক বরষায়’ ও রবীন্দ্রসংগীত ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পায় চিরদিন কেন পাই না’ এই দুইটি গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন হুমায়ূন-পত্নী মেহের আফরোজ শাওন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন আহমেদের সহোদর কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, “যারা এ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের হুমায়ূন আহমেদ পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। এই পুরস্কার যারা সাহিত্যাঙ্গনে রয়েছেন, তাদের অনুপ্রাণিত করবে।”
ফাতেমা আবেদীন বলেন, “আমি আমার লেখা পৌঁছে দিতে চাই বিশ্বের দরবারে। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন আপার বই পড়ে আমরা বড় হয়েছি, আজ তার পাশে বসে আমি পুরস্কার নিতে পারছি, এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় আনন্দের।”
২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। দেশের প্রবীণ ও নবীন কথাশিল্পীদের সাহিত্য সৃষ্টির স্বীকৃতি ও প্রেরণা জোগাতেই এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।
শওকত আলী ও সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম ২০১৫ সালে এই দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে হাসান আজিজুল হক ও স্বকৃত নোমান, ২০১৭ সালে জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও মোজাফ্ফর হোসেন, ২০১৮ সালে রিজিয়া রহমান ও ফাতিমা রুমি, ২০১৯ সালে রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন এবং গত বছর এ পুরস্কার অর্জন করেন হাসনাত আবদুল হাই ও নাহিদা নাহিদ।