ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখন হোলি উত্সব উদযাপন করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম দোল উত্সব এটি। রঙে রঙে মেতে উঠে সবাই। লাল, নীল, সবুজ হলুদ বাহারি রং চুলে গায়ে মাখিয়ে নাচে গানে মেতে উঠে এই উত্সবে। বসন্ত আবহাওয়ায় হোলি উত্সব যেন আনন্দের অন্য মাত্রা এনে দেয়।
দোলের দিন পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের সঙ্গে সবাই সমান তালে হোলিতে মেতে উঠে। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়া এই বছর হোলি উত্সব ঘটা করেই পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। ছোট, বড় সবার গায়ে থাকে সাদা রঙের পোশাক। সেই পোশাকের সঙ্গে চুল ও ত্বক রাঙিয়ে যায় নানা রঙে।
হোলির উত্সব শেষ হলেই শুরু হবে পার্লারে দৌড়ানো। কারণ বাজারের ক্যামিকেলযুক্ত রঙে ত্বক এবং চুলের বেজায় ক্ষতি হয়। অ্যালার্জি হয়, চুল রুক্ষ হয়ে প্রাণহীন দেখায়। তাই হোলি শুরুর আগে এবং পরে চুল ও ত্বকের বিশেষ যত্ন নিন।
- ক্যামিকেলযুক্ত রঙের পরিবর্তে ভেষজ রঙ দিয়ে উত্সব উদযাপন করুন। প্রাকৃতিক রং ব্যবহারে চুল ও ত্বকের ক্ষতি হবে না।
- হোলি শুরুর কয়েকদিন আগে এবং শেষ হওযার পর নারকেল তেল এবং আমন্ড তেল ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। চুলের রুক্ষতা কম হবে।
- হোলির রং গায়ে মাখার আগে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। মুখ, হাত ও পায়ে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজার লাগান। না হলে ত্বকও রুক্ষ হয়ে যাবে। রং সহজে উঠবেও না। চুল ও ত্বক যত হাইড্রেটেড রাখা যাবে, তত ভালো থাকবে।
- রং লাগানোর ৩০ মিনিট আগে ত্বকে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। দিনের বেলা হোলি উদযাপনে ত্বকে ট্যান পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে কোনোভাবেই তা থেকে রক্ষা পাবেন না।
- হোলির রং তুলতে পাতি লেবুর রস মুখে মাখুন। এই রস লাগানোর পর অনন্ত ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ভেষজ ন্যাচারাল ব্লিচিং। অতি সহজেই রং উঠে যাবে। ত্বকেরও ক্ষতি হবে না।
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে টক দই ও বেসন দিয়ে প্যাক তৈরি করে মাখুন। মিনিট ২০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন।
- চুলে লেগে থাকা রং তুলতে পাতিলেবুর সঙ্গে টক দইয়ের মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- যতটা সম্ভব ন্যাচারাল লুকেই থাকুন। অত্যধিক মেকআপ করবেন না। ত্বকের ক্ষতি হবে।
- দোলের আগের দিন শ্যাম্পু করবেন না। চুলের গোড়া শুষ্ক থাকলেই রঙ উঠবে না সহজে।
- হোলি খেলার সময় চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। রঙ চোখে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।