• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গরুর রক্তে তৈরি রাশিয়ার বিখ্যাত ক্যান্ডি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২, ১২:৫৭ পিএম
গরুর রক্তে তৈরি রাশিয়ার বিখ্যাত ক্যান্ডি

চকলেট বা ক্যান্ডি কমবেশি সকলের পছন্দের। বিশেষ করে শিশুরা তো ক্যান্ডি ছাড়া একদিনও থাকতে পারে না। তবে শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে ক্যান্ডি। বাজারে ক্যান্ডির রয়েছে নানান রকমফের। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন, গরুর রক্ত দিয়েও তৈরি হয় ক্যান্ডি!

বলছি রাশিয়ার বিখ্যাত ক্যান্ডির কথা। রাশিয়ায় ‘হেমাটোজেন’ বা ‘জেমাটোজেন’ নামক পুষ্টিকর এই ক্যান্ডি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় গরুর রক্ত। জানা যায় রক্ত স্বল্পতা, অপুষ্টি ও ক্লান্তির চিকিৎসায় এই ক্যান্ডি খুবই কার্যকরী। সোভিয়েত আমলে এই ক্যান্ডির সূচনা ঘটে।

এ কারণে ওই আমল থেকেই শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ই খাওয়া শুরু করে এই ক্যান্ডি। এক সময় এই ক্যান্ডি শুধু ফার্মেসিতে জনসাধারণের কাছে বিক্রি করা হলেও পরে হেমাটোজেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মতো প্রাক্তন সোভিয়েত দেশগুলোতেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা পর্যন্তও পৌঁছে গেছে জনপ্রিয় এই ক্যান্ডি বার।

আরবিটিএইচ অনুসারে, হেমাটোজেনের প্রথম সংস্করণটি ১৮৯০ সালে সুইজারল্যান্ডে তৈরি হয়েছিল। তখন এটি তৈরি হত গরুর রক্ত ও ডিমের কুসুমের মিশ্রণ দিয়ে। যার নাম ছিল ‘গোমেলের হেমাটোজেন’। তবে ১৯২০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর সঙ্গে মিষ্টতা ও চকলেটের স্বাদ মিশ্রিত করেন। যা শিশুরাও খেতে পছন্দ করত। হেমাটোজেন চকলেট তৈরি করতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে।

কনডেন্সড মিল্ক, চিনি, গ্লুকোজ সিরাপ ও ভ্যানিলার মেশানো হয় এটি তৈরিতে। তারপর মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দেওয়া হয়। তারপর মেশানো হয় গরুর রক্ত। পরের দিন ক্যান্ডি বারে ঢালাই করা হয়। সোভিয়েত রাশিয়ার বেশিরভাগ লোকেরা খুব ভালোভাবে জানত যে হেমাটোজেন বারে গরুর রক্ত থাকে। তবে এতে তাদের কোনো সমস্যা ছিল না।

আয়রন-সমৃদ্ধ এই ক্যান্ডি বার সুস্বাদু হওয়ায় ছোট-বড় সবাই খুব পছন্দ করে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীর রক্ত স্বল্পতার চিকিৎসার পাশাপাশি আহত সৈন্যদের পুনরুদ্ধারের গতি বাড়াতে সাহায্য করত এই ক্যান্ডি বার।

সোভিয়েত আমলের হেমাটোজেন বার আজও জনপ্রিয় রাশিয়া, ইউক্রেনের মতো অন্যান্য প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে। তবে বর্তমানে এই ক্যান্ডি প্রস্তুতকারীরা গরুর তরল রক্তের বদলে গুঁড়া রক্ত ব্যবহার করেন। তবে স্বাদ আছে অভিন্ন।

সূত্র: অডিটি সেন্টাল/ভাইস/অ্যাটলাস অবসকিউর

Link copied!