মুখের অভিব্যক্তিকে ফুটিয়ে তোলা হয় ইমোজি বা ইমোটিকনের মাধ্যমে। এটাকে এখন আলাদা ভাষাই বলা যায়। বেশি কিছু না বলে নিজের অভিব্যক্তিকে ছোট্ট সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। বলা যায়, অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় আরও সহজ করেছে ইমোজি।
বিশ্বজুড়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদানের জন্য ব্যাপকহারে ব্যবহার হচ্ছে ইমোজি। কম-বেশি সব ইমোজিই ব্যবহার হয়। তবে বেশি ব্যবহার হওয়া ইমোজিও জনপ্রিয়তা পায়। এই বছরও সারা বিশ্বের মানুষ একটি ইমোজিকে বেশি ব্যবহার করেছেন। যা সমীক্ষায় তুলে ধরেছেন গবেষকরা।
২০২১ সালের কোন ইমোজিটি ব্যবহারকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে, তা নিয়েও জরিপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম সংস্থার একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইমোজির তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিশেষ একটি। আনন্দাশ্রু বা খুশিতে চোখে পানি এসে যাওয়া বোঝাতে যেই ইমোজি ব্যবহার হয়, সেটিই এই বছর পছন্দের শীর্ষে। শুধু তাই নয়, এই ইমোজিটি ২০১৭ সাল থেকেই প্রথম স্থান দখলে রয়েছে। অতিমারিতে বিধ্বস্ত জনজীবনেও ব্যবহারীদের জনপ্রিয়তায় বার বার প্রথম হওয়া বেশ আশ্চর্যের বিষয়।
জনপ্রিয়তার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টুকটুকে 'রেড হার্ট' বা 'লাল হৃদয়'। এটাকে আমরা লাভ সাইন বলে থাকি। 'চোখে পানি মুখে হাসি' দেওয়া ইমোজিটি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। যাকে বলা যেতে পারে হেসে গড়াগড়ি খাওয়া।
এরপরই চতুর্থ স্থান, যেখানে রয়েছে থাম্বস আপ ইমোজিটি। সম্মতি বা পছন্দ বোঝাতেই এই ইমোজির ব্যবহার বেশি হয়। এরপরই রয়েছে কান্নার ইমোজিটি।
ব্যবহারকারী হিসাবে আপনার কাছে কোনটি পছন্দ? কোনটি বেশি ব্যবহার করছেন, একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে কোনটি রয়েছে। সোশ্যাল মাধ্যমে কথা বলার সিংহভাগই এখন ইমোজিতে হচ্ছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পৃথিবীর অনলাইন জনসংখ্যার প্রায় ৯২ শতাংশই এখন ইমোজি বা ইমোটিকন ব্যবহারে অভ্যস্ত।
১৯৯৯ সালে প্রথম তৈরি হয় ইমোজি। যদিও এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। অনেকের দাবি, ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় প্রথম ইমোজি। এক জাপানি শিল্পী সিগেতাকা কুরিতাকে ইমোজির স্রস্টা মনে করা হয়। জাপানি শব্দ ছবি এবং অনুভুতি (মোজি) এই দুটি শব্দ মিলিয়েই তৈরি হয়েছে ইমোজি। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠে ইমোজির ব্যবহার। প্রতি বছর ১৭ জুলাইকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।