‘ইশ, আমার যদি যমজ শিশু হতো!’- এমন ইচ্ছে অধিকাংশ মায়েরই থাকে। বাবারও মনে মনে সেই ইচ্ছাই রাখেন। কেনই বা নয়, যমজ শিশু দেখতে বেশ লাগে। আকারে, চেহারা, গড়নে হুবহু মিল থাকে তাদের। সাধারণত কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের ব্যবধানে ভূমিষ্ট হয় যমজ শিশুরা। একই গর্ভফুলে ভূমিষ্ট হলে হুবহু মিল থাকে এবং তাদের অনুভূতিগুলোও এক হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে যদি বছরের ব্যবধানে ভূমিষ্ট হয়েও দুইজন হুবহু মিলে যায়! অবাক হবেন? অদ্ভুত লাগলেও এমনই ঘটনা শোনালেন টিকটক তারকা মিচেল জানসে।
বিজ্ঞানের গুণে এমন ঘটনাও অসম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন মিচেল জানসে। তিনি জানান, তার বোন যমজ বোন জেজে। জানসে আর জেজের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ৩ বছরের। জন্মের নিরিখে দেখলে এই পার্থক্য তিন বছরেরও কিছুটা বেশি। তবুও তারা যমজ।
এটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিচেল। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানান, দু’জনেরই জন্ম হয়েছে আইভিএফ বা কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে। যে ভ্রূণ থেকে তাদের জন্ম হয়, সেই ভ্রূণ দু’টি সৃষ্টি হয়েছে একসঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ভ্রূন দুটি সৃষ্টি হয়। কিন্তু তাদের বাবা-মা একসঙ্গে দুটি সন্তান নিতে রাজি ছিলেন না। তাই প্রথমে মিচেলকে তার মায়ের দেহে স্থাপন করেন। এর ৩ বছর পর ২০০০ সালে বোন জেজেকে মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়। মাঝের সময়টুকুতে ভ্রূনটি হিমায়িত করে রাখা হয়েছিল। তাই ভূমিষ্ট হওয়ার তারিখের নিরিখে তারা ৩ বছরের ছোট বড়। কিন্তু ভ্রূণ সৃষ্টির দিক থেকে তারা যমজ।
একটি ভিডিও বার্তায় এই ঘটনার বর্ণনা করেছেন মিচেল। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। ইতোমধ্যে ভিডিওটি ১৬ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। মন্তব্যও পড়েছে হাজার খানেক।
অনেকে লিখছেন, ‘বিজ্ঞানের জোরে কী না সম্ভব!’……….কেউ আবার বলছেন, ‘একই সঙ্গে নিষিক্ত হলেই যমজ হয় না।‘ কেউ আবার নতুন করে বাবা মা হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন মিচেলের এই ভিডিওটি দেখে।
মিচেল দাবি করেন, তারা বিষয়টি উপভোগ করেন। যা খুবই রোমাঞ্চকর। তাদের বাবা-মা আরও বেশ কিছু ভ্রূণ হিমায়িত করে রেখেছেন। এখনও চাইলে ভাই কিংবা বোন পেতে পারেন তারা।
সূত্র: আনন্দবাজার







































