• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

পোশাকে একুশের চেতনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
পোশাকে একুশের চেতনা

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রক্তের বিনিময়ে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বাঙালি। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছে। আজও বাঙালিরা গৌরবের সঙ্গে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন করে। এই গৌরব এখন বিশ্বের দরবারেও সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বজুড়ে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

ভাষা শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশজুড়ে এই দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। যার প্রভাব পরে ফ্যাশন দুনিয়াও। পোশাকে প্রাধান্য পায় সাদা-কালো রং। গহনার ডিজাইনেও থাকে সাদা-কালোর ছোঁয়া। ছোট-বড় সবাই শোকের পোশাক পরে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সাদা-কালো রঙের নতুন পোশাকে ক্রেতাকে মুগ্ধ করতে ফ্যাশন হাউজগুলোর প্রয়াসও চোখে পড়ার মতো। মানুষের হৃদয়ে একুশের চেতনা যেন সদা প্রজ্জ্বলিত থাকে, তারই ক্ষুদ্র প্রয়াস থাকে পোশাকে একুশের এই আয়োজনে। পোশাকের আয়োজনে সাদা কালোর সঙ্গে অল্প লাল রং যোগ হতেও দেখা যায়। যা শোক আর শক্তির সমন্বয়ে জ্বলে ওঠার প্রতীককে ফুটিয়ে তোলে।

শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি-কামিজ কিংবা টি-শার্টে ফুটে ওঠে একুশের নকশা। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বর্ণমালা, প্রভাতফেরি কিংবা দেশের কবিতা জায়গা পায় পোশাকের মোটিফে। বলা যায়, পোশাকের মধ্য দিয়েই গায়ে জড়িয়ে থাকে একুশের টুকরো টুকরো ইতিহাস আর স্মৃতি। মেয়েরা সাদা-কালো শাড়ি, ছেলেরা পাঞ্জবি পরে এদিন একুশের স্মৃতি বসনে নিয়ে আসেন। যারা শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য নন, তারা পরেন কামিজ বা কুর্তি। পোশাকের ক্যানভাসে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলতে নিরলস কাজ করেন এ দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

দেশের স্বনামধন্য ফ্যাশন হাউজ বিশ্বরঙ মাতৃভাষা দিবসটি উপলক্ষে নানা আয়োজন রেখেছে। লাল ও কালো পাড়ের শাড়ি, সাদা কালো সেলফ প্রিন্টেড কামিজ কুর্তি প্রাধান্য পাচ্ছে। মোটিফের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলা বর্ণমালা। ছেলেদের পাঞ্জাবিতেও রাখা হয়েছে বৈচিত্র্য।

এ ছাড়া  ফ্যাশন হাউজ আড়ং, রং বাংলাদেশ, সাদা-কালো, অঞ্জনস, নিত্য উপহার, অঞ্জনস, বিবিয়ানা ইত্যাদির শো রুমেও রয়েছে একুশের আয়োজন। এভাবেই শোকের এই দিনটিতে পোশাকে মাতৃভাষার প্রতি প্রেম আর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা উঠে আসে। আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল এই দিনটির তাৎপর্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। 
 

Link copied!