• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

যা থাকে সোমালিয়ানদের ইফতার ও সাহ্‌রিতে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
যা থাকে সোমালিয়ানদের ইফতার ও সাহ্‌রিতে
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর–পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ সোমালিয়া। চরম দরিদ্র আর অর্থসংকটের জাঁতাকলে বেড়ে উঠেছে এই দেশটি। শিক্ষা–সংস্কৃতিতে বেশ দুর্বল এই দেশের জনগণ। মৌলিক চাহিদার যোগান দিতেও হিমশিম খায়। বিভিন্ন কোন্দল আর গৃহযুদ্ধের কারণে বারবার পিছিয়ে পড়েছেন এই  দেশের জনগোষ্ঠীরা। একসময় উদ্ভব হয় সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুতা। একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে জলদস্যুতা বেড়ে চলেছে। যা আজ-অবদি আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ।

দারিদ্রতায় ঘিরে থাকা সোমালিয়ান জনগোষ্ঠীরাও সংখ্যাঘরিষ্টতায় মুসলিম। তারাও পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করেন। শেষরাতে সাহরি খান, আবার সন্ধ্যায় ইফতার করেন। রমজানের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে ঈদ পালন সবকিছুতেই থাকে তাদের উৎসব-উত্তেজনা।

জানা যায়, পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখতে তারা দল বেঁধে খোলা মাঠে উপস্থিত হন। প্রতিটি এলাকায় চাঁদ দেখার আয়োজন করা হয়। যে এলাকায় চাঁদ দেখা যাবে, সেখানকার জনগণই রোজা রাখবেন। অন্য এলাকায় চাঁদ দেখা না গেলে রোজা পালন করেন না।

ইফতার, সাহ্‌রি ও তারাবিহ নামাজ সবকিছুই করেন সোমালিয়ানরা। তাদেরও অধিকাংশ মসজিদে খতমে তারাবিহ হয়। রমজান মাসজুড়ে মসজিদে মাহফিল হয়। কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। কোনো মসজিদে তারাবিহর আগে হয় কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। আবার কোথাও তারাবিহর নামাজের পড়ে শেখানো হয় কোরআন। তাদের মধ্যে শিক্ষার হার কম থাকলেও কোরআনে হাফেজ রয়েছেন অনেকেই।  

সোমালিয়ান নারী-পুরুষরা ইফতার করে আর বাড়িতে অবস্থান করেন না। প্রত্যেকেই তারাবিহ নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। অধিকাংশ মসজিদে খতমে তারাবিহ হয় এবং সুরা তারাবিহ হয় ব্যক্তিগত বা পারিবারিক আয়োজনে। ২৭তম রমজানেই তারা কোরআন খতম করেন।

সোমালিয়ানদের ইফতারে থাকে ভারী খাবারের আয়োজন। উটের গোশত, বিখ্যাত খাবার ওটকা, খেজুর, সমুচা, শরবত ও উটের  দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদ খেতে পছন্দ করেন। এছাড়াও উটের মাংসেরশুঁটকি খেতেও বেশ পছন্দ করেন।

এরপর এশা ও তারাবিহর নামাজ আদায় করে রাতের খাবার খান। রাতের খাবারে তারা আনবোলা খেতে পছন্দ করেন। সোমালিয়ানদের ঐতিহ্যবাহী খাবার আনবোলা। অনেকটা সময় ব্যয় করে আনবোলা রান্না করেন তারা। মাখন, চিনি ও চালের সঙ্গে মটরশুঁটি মিশিয়ে ৫ ঘণ্টার মতো রান্না করেন। রান্না হয়ে গেলে আবারও কিছু চালের গুঁড়া, মাখন ও চিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করেন। এছাড়াও সোমালিয়ানরা চাল দিয়ে প্রস্তুত করা খামিরে মসলা, মাংস বা মাছ এবং ভেষজ মাখিয়ে নানা পদ বানিয়ে খান।

সোমালিয়াদের আরও একটি প্রিয় খাবার এলাচি ও দুধে তৈরি জিলাতিয়া হালুয়া। এই হালুয়া দিয়ে রুটি খেতে তারা বেশ পছন্দ করেন। এছাড়াও আরও নানা ধরণের হালুদা তৈরির রীতি রয়েছে তাদের মধ্যে।

সোমালিয়ার দক্ষিণের অঞ্চলগুলোর জনপ্রিয় খাবার একসালুছুমালি। বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও তেল দিয়ে তৈরি হয় এই খাবারটি।

Link copied!