• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

রমজান শুরুর আগেই নিজেকে প্রস্তুত করুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
রমজান শুরুর আগেই নিজেকে প্রস্তুত করুন
সূত্র: সংগৃহীত

রমজান মাস শুরু হচ্ছে। কয়েকদিন পরই ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রমজান মাসের রোজা রাখবেন। সিয়াম সাধনায় মগ্ন হবেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাস শুরুর আগেই কিছু প্রস্তুতি নিতেন। মহানবীর দেখানোর পথ অনুসরণ করে রোজা প্রত্যাশী মুসলিমরাও নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন।

রজব মাস এলে মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান- ওয়া বাল্লিগনা রমাজান। ’ অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজানে পৌঁছে দিন।

রমজান মাসের আগেই মহানবী অধিক ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন। মানসিক প্রস্তুতি নিতেন।  তাই পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগেই আপনিও প্রস্তুত করে নিন নিজেকে_

·         জরুরি কিংবা বড় কোনো কাজ থাকলে তা রমজান মাস শুরুর আগেই শেষ করে নিন। এতে রমজানে বাড়তি শ্রম দিতে হবে না।

·         প্রয়োজনীয় কেনাকাটা রোজার আগেই সেরে নিন। ঘরের এবং পরিবারের জন্য যাবতীয় কেনাকাটা আগেই সেরে ফেলুন। যেন রোজা রেখে অযথা বাইরে যেতে না হয়।

·         এবারের রমজান মাস কীভাবে কাটাবেন তা আগেই পরিকল্পনা করুন। যা আপনাকে দ্বীনের পথে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে। দিনের কোন সময়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করবেন তা আগেই ঠিক করে রাখুন। শক্তি, সামর্থ্য ও সময় বিবেচনা করে ইবাদতের প্রস্তুতি করুন।

·         পবিত্র রমজানে কোরআন নাজিল হয়েছে। অর্থ ব্যাখ্যাসহ কোরআন পাঠ করা জরুরি। এই মাসটি কোরআন তেলওয়াতের জন্যই বরাদ্দ রাখুন।

·         রমজান মাসে কোরআন প্রশিক্ষণ ক্লাসেও যোগ দিতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতের জন্যও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

·         তারাবি, নফল ইবাদত ও দান সদকার ব্যাপারেও পরিকল্পনা করুন। প্রতিদিন কিছু দান করার চেষ্টা করুন।

·         জাকাত দাতা হলে হিসাব-নিকাশ ও বিলিবণ্টনের কাজ আগেই সেরে নিন। কীভাবে, কোথায় জাকাত দিবেন তা আগেই ঠিক করে রাখুন।

·         রমজান মাসের বিশেষ ফজিলত হলো একটি ফরজ ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান। একটি নফল একটি ফরজ আদায়ের সমান সওয়াব। তাই এই মাসে ফরজ নামাজের পাশাপাশি বেশি করে নফল আদায় করুন।

·         সাহরির কারণে রমজান মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সহজ হয়। সাহরির প্রস্তুতি আগেই নিয়ে নিন। এরপরের সময়টুকু নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া-দরুদ পাঠ ও আল্লাহর দরবারে গোনাহ মাফ, তওবা করার পরিকল্পনা করতে পারেন।

·         রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা করুন। বদ অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ার অভ্যাস আগেই শুরু করুন।

·         পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রত্যেকে যেন সুস্থভাবে রোজা পালন করতে পারে সেই নিশ্চয়তার প্রস্তুতি নিন। পরিবারের সবাইকে রোজা রাখার জন্য অনুপ্রাণিত করুন। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিন। রমজান মাস শুরুর আগেই যাথার্থ্য পরিবেশ তৈরি করুন।

Link copied!