গরমে মাথার ত্বকেও ঘাম হচ্ছে। তাই বেশিরভাগ সময়ে চুল বেঁধে রাখতে হচ্ছে। বাড়ি ফিরে মাথায় পানি ঢালতেই মুঠো মুঠো চুল উঠতে শুরু করে। শ্যাম্পু করতে গেলে আতঙ্কে বুক কেঁপে উঠছে। সারাক্ষণ চুল ভিজে থাকলে এমনিতে গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। তার ওপর শ্যাম্পু করার সময়ে একটু ঘষাঘষি করলেই চুল পড়তে শুরু করে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে অনেকেই অ্যালোভেরার শাঁস ব্যবহার করেন।
অ্যালোভেরার বা ঘৃতকুমারীর শাঁসে রয়েছে এমন একটি উৎসেচক, যা মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়ার পরিমাণ কমে। অ্যালোভেরা চুলের ফলিকলগুলি মজবুত করে। এ ছাড়া এই ভেষজে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, কোলাজেন এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা সামগ্রিক ভাবে চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা মাখলে কোন কোন সমস্যা বশে থাকবে
১) মাথায় খুশকির সমস্যা থাকলে কিংবা কোনো রকম সংক্রমণ হলে সারাক্ষণ মাথায় অস্বস্তি হয়, চুলকায়। নখ দিয়ে সমানে মাথা চুলকালে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। অ্যালোভেরার শাঁস ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
২) চুলের গোড়া মজবুত করতেও অ্যালোভেরা শাঁস ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উপাদানটির মধ্যে এমন কিছু খনিজ রয়েছে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
৩) চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে গেলেও কিন্তু ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত অ্যালো ভেরার শাঁস মাথায় মাখলে মাথার ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে।








































