শীত এলেই বাড়ে সর্দি-কাশি–জ্বরের উৎপাত। এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার রাখতে অনেকেই সাপ্লিমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের পরিচিত কিছু সবজি প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের প্রতিরোধব্যবস্থা শক্তিশালী করে, যা অনেক ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টের চেয়েও বেশি কার্যকর।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের পাঁচ সবজি, যেগুলো নিয়মিত খেলে শরীর অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে মৌসুমি রোগব্যাধি থেকে
গাজর: শ্বাসযন্ত্রের রক্ষাকবচ
শীতের বাজারে কমলা রঙের রাজত্ব যেন গাজরেরই। এতে থাকা বিটা–ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন–এ রূপ নিয়ে শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। গাজর কাঁচা, সালাদে বা স্যুপে- যেভাবেই খান না কেন, এটি শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে শক্তিশালী করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।
পালং শাক: রক্ত ও প্রতিরোধব্যবস্থার জ্বালানি
পালং শাকে রয়েছে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন–সি আর প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই মিশ্রণ শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে—যা ভাইরাস ও জীবাণুর আক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রধান সেনা। ভাজি, স্যুপ বা স্মুদি—পালং শাক যে ভাবেই খান, তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
ফুলকপি: প্রদাহবিরোধী শক্তি
শীতকালীন এই সবজিটি ডিটক্সিফিকেশনে দারুণ ভূমিকা রাখে। এতে আছে ভিটামিন–সি, কোলিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের প্রদাহ কমায়। তরকারি, স্যুপ বা ফুলকপি–পরোটা যেভাবেই রান্না করুন, এটি শরীরকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয় শীতের সংক্রমণ থেকে।
মটরশুঁটি: রোগ প্রতিরোধ ও অন্ত্রের জন্য উপকারী
সবুজ দানা মটরশুঁটি শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টেও ভরপুর। এতে পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ভিটামিন–সি, ভিটামিন–কে এবং ফাইবার। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি এটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শীতের খাবারে মটরশুঁটি তাই অপরিহার্য।
ব্রোকলি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ারহাউস
ব্রোকলি হলো শীতকালীন ক্রুসিফেরাস সবজির সেরা সংযোজন। এতে রয়েছে ভিটামিন–সি, ভিটামিন–কে, ফাইবার এবং সালফোরাফেন নামের এক বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মৌসুমী সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণা বলছে, ব্রোকলি নিয়মিত খেলে শ্বাসযন্ত্রের রোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদরা এর পুষ্টি ধরে রাখতে হালকাভাবে ভাপিয়ে খেতে পরামর্শ দেন।







































