পুরুষরা কাঁদতে জানে না, কাঁদে না বা পুরুষদের কাঁদতে নেই এরকম নানান কথা সমাজে ভেসে বেড়ায়। বিষয়টা এমন যেন পুরুষ হলেই সে আর রক্তে মাংসে মানুষ হয় না, তাকে হতে হবে আয়রন ম্যান। কিন্তু মানুষ মানেই হাসতে জানবে, কষ্ট পেলে কাঁদবে, নিজের মান অভিমান প্রকাশ করবে। এরকম পুরুষও তার আবেগ অনুভুতি প্রকাশ করবে। তবে সেক্ষেত্রে তার চাই নির্ভরযোগ্য জায়গা। এক্ষেত্রে আপনিই আপনার প্রিয় মানুষের জন্য হয়ে উঠুন নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল। তারা যেন তাদের শোক-দুঃখ, হাহাকার-চিৎকার পরম মমতায় জমা রাখতে পারেন আপনার কাছে। কাঁদতে পারেন আপনাকে জড়িয়ে ধরে।
শুধু আলাদা করে নারী জন্যই না, পুরুষদের জন্যও আছে দিবস। ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। ১৯৯৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপন শুরু হয়। তবে এর শুরু ১৯৯২ সাল থেকে। সেবছর যুক্তরাষ্ট্রের টমাস ওস্টার পুরুষ দিবসের ধারণাটির জন্ম দেন এবং সে বছরই ফেব্রুয়ারিতে দিবসটি পালিত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অধ্যাপক জেরোম তিলক সিংয়ের প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির দিন ধার্য হয় ১৯ নভেম্বর।
শুরুতে পুরুষ দিবস ক্যারিবীয় অঞ্চলে বেশ সারা ফেলে। তারপর থেকে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, হাইতি, জ্যামাইকা, হাঙ্গেরি, মাল্টা, ঘানা, মলদোভা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়। তবে এই দিবসটি বর্তমানে আরও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
এদিনে বিভিন্ন দিবসে পছন্দের পুরুষকে উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে পাকলিক সেমিনারসহ আরও নানান কর্মসূচি পালন করে। এই দিনে তাদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল, সংগীত কনসার্টও করা হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘ইতিবাচক পুরুষই অনুকরণীয়’। অর্থাৎ পুরুষকে ইতিবাচক হওয়ার আহ্বান রয়েছে এই প্রতিপাদ্যে।








































