বাংলাদেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাস ভারতে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে বাংলা ভাষাকে রাজ্যের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।
আর তাই এসব রাজ্যেও বাংলাদেশের মতোই গুরুত্ব পায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবারও আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে নানা আয়োজনে পালিত হয় একুশে ফেব্রুয়ারি।
সরকারি ছুটি না থাকলেও শ্রদ্ধা, উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের কমতি ছিল না। কোথাও কোথাও অঘোষিত ছুটিই পালন করছেন বাঙালিরা।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে প্রভাতফেরি আয়োজন করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শান্তিনিকেতনসহ অনেক এলাকার সড়কে ভাষা আন্দোলন আর একুশে ফেব্রুয়ারির স্মরণে রঙিন আল্পনা দেখা গেছে। বাংলাদেশ ভবনে তৈরি করা হয়েছে শহীদবেদি।
সকালে শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থীরাও পদযাত্রায় অংশ নেন। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি- গানে সুর মিলিয়ে তাদের সঙ্গে পদযাত্রায় যুক্ত হন বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সেখানেও আয়োজন ছিল প্রভাতফেরির। এই শোভাযাত্রায় হাইকমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশিষ্টজনরা যোগ দেন।
উপহাইকমিশনের প্রাঙ্গণে শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বাংলাদেশ বিমান, সোনালী ব্যাংকের মতো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ। আসামের মতো ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে।