বিশ্বের প্রভাবশালী নেতার তালিকায় বরাবরই প্রথম সারিতে আছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই ক্ষমতাধর নেতার ব্যক্তিগত জীবনের অনেক তথ্যই আমাদের অজানা।
রোববার ‘রাশিয়া, সর্বশেষ ইতিহাস’ তথ্যচিত্রে দেশের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করেন পুতিন। এসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পুতিন বলেন, সেসময় তিনি ব্যক্তিগতভাবেও নানা সমস্যায় পড়েছিলেন।
পুতিন বলেন, “সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার মাধ্যমে আসলে ঐতিহাসিক রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলোয় অনেকের বিশ্বাস ছিল যে, কম সময়ের মধ্যেই রাশিয়া আরও টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।”
রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে তিনি খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে রাশিয়ার অনেকেই বাড়তি আয়ের জন্য নানা ধরনের কাজ করত। তখন নিজের খরচ মেটাতে তাকে ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসাবেও কাজ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, “অনেক সময় ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসাবে আমি বাড়তি কিছু অর্থ আয় রোজগার করতাম। সত্যি বলতে, এ বিষয়ে কথা বলাটা অস্বস্তিকর, কিন্তু বস্তবতা এমনই ছিল।”
সোভিয়েত গুপ্তচর সংস্থা, কেজিবির সাবেক গুপ্তচর ভ্লাদিমির পুতিন। নব্বইয়ের দশকে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র অ্যানাতোলি সোবচাকের দপ্তরে চাকরি করতেন।
১৯৯১ সালের সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন।