ভারতীয় উপমহাদেশে কলকাতার দুর্গাপূজার একটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারা বহন করে প্রতিবছর দুর্গাপূজার আয়োজন হয়। কলকাতার আলোচিত দুর্গাপূজা উৎসবকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ইউনেসকোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় কমিটির (ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটি অন ইনট্যানজিবল হেরিটেজ) ১৬তম সভা শেষে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বাঙালিরা এ শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করে। সর্বজনীন এ উৎসবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য এ বছর আগস্টে ইউনেসকোর কাছে আবেদন জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আবেদন যাচাই–বাছাই করে ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ইউনেসকোর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শেষে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
দশমী পূজায় কলকাতার রেড রোডে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন হয়। এই আয়োজনে যোগ দেয় কলকাতা ও আশপাশের শতাধিক পূজা কমিটি। কার্নিভালে অংশ নেন চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ নামীদামী সব তারকা। এছাড়াও যোগ দেয় কলকাতার বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনও।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ইউনেসকো বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের তালিকায় স্থান দেয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায় সন্তোষ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এই স্বীকৃতি প্রত্যেক ভারতীয়দের জন্য গর্বের ও আনন্দের। দুর্গাপূজা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সেরা দিকগুলো আলোকিত করে। সবার উচিত দুর্গাপূজা দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করা।’
এর আগে ভারতের মণিপুর রাজ্যের কীর্তন গানকে ও ধর্মীয় উৎসব কুম্ভ মেলাকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো