• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিয়ানমারে জান্তাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন নারীরাও


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ১০:৫৮ এএম
মিয়ানমারে জান্তাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন নারীরাও
শক্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ড্রোন পরিচালনায় এক নারী সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন নারীরা। পুরুষের পাশাপাশি তারাও বিদ্রোহী ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের দলগুলোতে ভিড়ছেন। সম্মিলিত সশস্ত্র শক্তি পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের অধীনে শত শত নারী অংশ নিচ্ছেন।

বর্তমানে অভ্যুত্থানের কারণে ক্ষমতা হারানো এমপি ও রাজনীতিকদের গঠন করা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) মদদপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) সম্মিলিত শক্তি জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া ইওএ ও বার্মা কমিউনিস্ট পার্টির (বিসিপি) পুনর্গঠিত সশস্ত্র সংগঠন এমএনডিএএ-ও পিডিএফের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

শান রাজ্যে ড্রোন হামলা চালানোর পর পিডিএফে যোগ দেওয়া কিশোরী মো মো বলেন, “আমি সামরিক বাহিনীর অন্যায় মেনে নিতে পারিনি। তারা নিরীহ সাধারণ মানুষদের হত্যা করেছে। এই ক্ষোভ থেকেই আমি মূলত এখানে যোগ দিয়েছি।”

মো মো তার ছদ্মনাম। নিরাপত্তার খাতিরেই এই ছদ্মনাম নিয়েছে। তার পরনে ছিল মান্দালয় পিডিএফের ছদ্মবেশী পোশাক। সেখানে তার অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গেই তিনি সেখানে যোগ দিয়েছেন। মান্দালয় পিডিএফে প্রায় ১০০ নারী আছেন। তারা শান রাজ্য ও মান্দালয়ে জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। এই ইউনিটের এক-তৃতীয়াংশই নারী।

ড্রোন ইউনিটের দলনেতা সো থোয়া জ বলেন, “আমার নারী কমরেডরা তাদের শক্তি ও ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নারীদের সক্ষমতায় বিশ্বাসী। নারী যোদ্ধাদের দক্ষতা সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবহার করলে ড্রোন বাহিনী সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।”

মান্দালয় পিডিএফের নারী সদস্যরা শুধু ড্রোন হামলা নয়, টহলেও কাজ করেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজও করেন। তারা কমব্যাট ট্রাউজার ও টি-শার্ট পরে সকালে জগিং ও ডার্ট ট্র্যাক করেন।

সম্প্রতি মিয়ানমারের শান রাজ্যে জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সঙ্গে মান্দালয় পিডিএফ যোগ দিয়েছে। রাত বাড়লে দলগুলোতে যোগ দেওয়া আগুনের আলোয়া খাবার খেয়ে নেন। ওই সময়টাতে তারা পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সূত্র: এএফপি

Link copied!