রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের এক সেনাকে ধরে তার মাথা কেটে নিচ্ছে, ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এর সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছে রাশিয়া। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এটি সামনে আসার পর রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা ভিডিওটি যাচাই করে দেখবে। তারা তাদের মত জানাবার পর প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস তাদের রায় দেবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “ভিডিওটি ভয়ংকর। তবে আগে তা যাচাই করে দেখতে হবে।”
রাশিয়ার ভাড়াটে প্রাইভেট বাহিনী ওয়াগনারের কমান্ডার আন্দ্রে মেদভেদেভ ভিডিওটি দেখে যে মাথা কাটছে তাকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই সেনা তার সাবেক সহকর্মী।
যদিও ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজানি প্রিগোজিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “পুরোপুরি মিথ্যা কথা। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।”
এদিকে রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন গুলাগু ডট নেট-এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমিক ওসেছকিন বলেছেন, “মেদভেদেভ বারবার ভিডিওটি দেখেছেন, তারপর তিনি স্পষ্টভাবে তার সাবেক সহকর্মীকে চিহ্নিত করেছেন।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। সংগঠনটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, “এই ঘটনা এবারই প্রথম নয়।”
অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, “এই ফুটেজ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের চেহারা কতটা অমানবিক।”
এ ছাড়া ফ্রান্স এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, “এই ঘটনা বর্বরোচিত।”
চেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “যদি ভিডিওটি সত্যি হয়, তাহলে রাশিয়ার সেনা নিজেদের আইএস জঙ্গিদের স্তরে নামিয়ে এনেছে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার ক্ষোভ ঝেড়ে বলেছেন, “আমরা কিছুই ভুলছি না। আমরা এই হত্যাকারীদের ক্ষমা করব না।”
আপনার মতামত লিখুন :