• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
আঙ্কারায় বিস্ফোরণ

কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর তুরস্কের বিমান হামলা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম
কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর তুরস্কের বিমান হামলা
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আত্মঘাতী হামলার পর আগুন নেভাচ্ছে ফায়ার কর্মীরা। ফাইল ছবি

উত্তর ইরাকের কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। রোববার (১ অক্টোবর) তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আত্মঘাতী হামলার পর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এর দায় স্বীকার করলে তুরস্কের সেনাবাহিনী উত্তর ইরাকে জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে।

এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান মেটিনা, হাকুরক, কান্দিল এবং গারা অঞ্চলে হামলা চালিয়ে গুহা, বাঙ্কার, আশ্রয়কেন্দ্র এবং গুদামসহ ২০টি পিকেকে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে।

তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে পিকেকে-কে আখ্যায়িত করেছে। পিকেকে-পন্থী ফিরাত নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট করেছিল, রোববার তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনের বাইরে বিস্ফোরণের পিছনে পিকেকে’র হাত ছিল। এই বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং দুজন আহত হয়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আঙ্কারায় পার্লামেন্ট উদ্বোধনের আগে দুই হামলাকারী একজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং তার গাড়ি চুরি করে। এরপর একজন আততায়ী নিজেকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা এতে আহত হন।

তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে চারটি ভিন্ন ধরনের বন্দুক, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি রকেট লঞ্চার এবং সি-৪ বিস্ফোরক খুঁজে পেয়েছেন। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে দুই হামলাকারীর মধ্যে অন্তত একজন পিকেকে সদস্য। দ্বিতীয় হামলাকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রোববার আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তুরস্ক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল না হয়।

সংখ্যালঘু অধিকার গ্রুপ ইন্টারন্যাশনালের মতে, কুর্দিদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত কোনো আবাসভূমি বা দেশ নেই। তারা তুরস্কের বৃহত্তম সংখ্যালঘু এবং মোট জনসংখ্যার ১৫% থেকে ২০% কুর্দি।

আঙ্কারার মতে, পিকেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং উত্তর ইরাক ও সিরিয়ায় তার ঘাঁটি থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে।

আঙ্কারার মতে উত্তর ইরাক ও সিরিয়ায় একটি পিকেকে অনুষঙ্গী কুর্দি গোষ্ঠী বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবদী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয় এবং ওখান থেকেই তুরস্কের উপর হামলা করে।

সূত্র: সিএনএন

Link copied!