পর্নো তারকাকে অর্থপ্রদানের মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প

মুখ বন্ধ রাখতে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্নো তারকাকে অর্থ দেওয়ার মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির ম্যানহ্যাটানের গ্র্যান্ড জুরি আদালতে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হলেন।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের নেতৃত্বে সম্পন্ন হওয়া তদন্তের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন হলো। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখনও জানা যায়নি, কারণ অভিযোগটি এখনও গোপন রাখা হয়েছে।

এদিকে বিবিসি দেশটির গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ব্যবসায়িক জালিয়াতি সম্পর্কিত আরও দুই ডজনেরও বেশি অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

ড্যানিয়েলস দাবি করেছেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সাথে তার একটি সম্পর্ক ছিল এবং তাকে চুপ থাকার জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের দাবি, তিনি ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে সরে না যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অবিহিত করেছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কি কি অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়িই এক মার্কিন বিচারপতির আওতায় এই মামলা যাবে এবং এরপরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে ফ্লোরিডায় রয়েছেন ট্রাম্প। আগামী মঙ্গলবার নিউইয়র্কের একটি আদালতে তার সাজা ঘোষণা করা হতে পারে।

ট্রাম্পের আইনজীবী সুসান নেচেলেস এবং জোসেফ টাকোপিনা বলেছেন, তারা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ‘জোরালোভাবে লড়াই’ করবেন। তবে ট্রাম্প এই বিষয়ে কি ভাবছেন, অপরাধ আদৌ স্বীকার করবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। গ্রেপ্তার ঠেকাতে সমর্থকদের প্রতিবাদ করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ বন্ধ রাখতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই পর্নো তারকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে অনৈতিকভাবে ওই অর্থ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ নিয়ে নিউইয়র্কের প্রসিকিউটররা পাঁচ বছর ধরে তদন্ত করছেন।

আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।