• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

৩৪টি অপরাধের অভিযোগ, যে সাজা পেতে পারেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০৯:৩৪ এএম
৩৪টি অপরাধের অভিযোগ, যে সাজা পেতে পারেন

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের ঠিক আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি এর সাথে যুক্ত আরও ৩৪টি ভিন্ন অপরাধ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি এই ৩৪টি অভিযোগেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ম্যানহাটানের একটি রাষ্ট্রীয় আদালতে পৌঁছার পর, ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্প প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাকে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুনানির আগে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও, শুনানি শেষে তাকে ছেড়ে দেয় আদালত। অপরাধী আসামীর মতো তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক দণ্ডবিধির ১৭৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির ৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউইয়র্কে ব্যবসায়িক রেকর্ড জাল করা একটি বড় অপরাধ।

ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ আদালতের শুনানির পর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নিউইয়র্ক নির্বাচনি আইনের যে লঙ্ঘন হয়েছে সেগুলোকে আড়াল রাখার উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্পের।”

যদি জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হন, তবে প্রতিটি অপরাধের জন্য ট্রাম্পকে চার বছর করে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। বিচারক এই সাজা পরপর দিতে পারেন, যার অর্থ ট্রাম্পকে দীর্ঘ কারাবাসে যেতে হবে।

তবে এই অভিযোগে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিধান নেই। এমনকি সব ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলেও, ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৪ সালের প্রার্থীকে কারাগারে সাজা দেওয়া হবে কি না তা অনিশ্চিত।

৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প একসময় তার আবাসন ব্যবসার সাম্রাজ্যের তত্ত্বাবধান করতেন এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কয়েক দশক ধরে শহরের চকচকে, জাঁকজমক পূর্ণ অভিজাত একটা সমাজে বিচরণ করতেন। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো, তিনি তার নিজের শহরে একজন বিবাদী হিসাবে আদালতে উপস্থিত হলেন।

বিভিন্ন প্রাথমিক জাতীয় জরিপগুলোতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউজ পুনরুদ্ধার করার লড়াইয়ে, আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পক্ষে মনোনয়নের দৌড়ে তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷

এদিকে আদালত চত্বর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ট্রাম্প টাওয়ারে কয়েক ডজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, যেখানে ট্রাম্প তার বাসভবনে রাত কাটিয়েছেন এবং তার আইনজীবীদের সাথে শেষ মুহূর্তের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।

রোববার ট্রাম্পের আইনজীবী জো টাকোপিনা সিএনএনকে বলেছিলেন, ড্যানিয়েলসকে অর্থ প্রদান সম্পূর্ণই একটি ‘ব্যক্তিগত ব্যয়, প্রচারাভিযানের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

আদালতের কার্যক্রম শেষ হবার পর, ট্রাম্প ফ্লোরিডায় ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, যেখানে তিনি মঙ্গলবার রাতে তার ‘মার-এ-লাগো’ বাসভবন থেকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন, এবং তার সমর্থকদের সাথে দেখা করবেন।

Link copied!