• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘দেশ নরকে যাচ্ছে, বিশ্ব আমাদের নিয়ে হাসি তামাশা করছে’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৩, ১০:৫২ এএম
‘দেশ নরকে যাচ্ছে, বিশ্ব আমাদের নিয়ে হাসি তামাশা করছে’

সাবেক পর্ন তারকা ড্যানিয়েল স্টর্মির মুখ বন্ধ রাখতে গোপনে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ম্যানহাটনের আদালতে শুনানি শেষে ফ্লোরিডায় ফিরে গেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সমর্থক ও গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোকে দেশের জন্য অপমান হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “ আমেরিকা জাহান্নামে যাচ্ছে।”

বুধবার (৫ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার ম্যানহাটানের একটি রাষ্ট্রীয় আদালতে পৌঁছার পর, ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ট্রাম্প প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাকে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও শুনানি শেষে তাকে ছেড়ে দেয় আদালত। অপরাধী আসামীর মতো তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়।

২০২২ সালে মার-এ-লাগো এস্টেট থেকে এফবিআই স্পর্শকাতর নথি উদ্ধারের প্রসঙ্গে সমালোচনা করে বলেন, “আমাদের দেশ নরকে যাচ্ছে। এসব ঘটনা আমাদের দেশের জন্য অপমানজনক। কারণ বিশ্ব আমাদের দেশকে নিয়ে হাসি তামাশা করছে।”

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের ঠিক আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি এর সাথে যুক্ত আরও ৩৪টি ভিন্ন অপরাধ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি এই ৩৪টি অভিযোগেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ট্রাম্পের মামলার পরবর্তী ব্যক্তিগত শুনানির তারিখ ৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমি কখনই ভাবিনি যে আমেরিকায় এরকম কিছু ঘটতে পারে। কখনো ভাবিনি এটা ঘটতে পারে। আমার অপরাধ হলো যারা আমাদের জাতিকে ধ্বংস করতে চায় তাদের থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।”

এর আগে আদালত থেকে বেরিয়ে খুবই একটা কথা বলেননি তিনি। অনেকটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল তাকে। সরাসরি চলে যান ফ্লোরিডায়। নিজ বিলাসবহুল রিসোর্টে ফিরেই ভাষণে পুরো ঘটনা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই থেকে সরিয়ে দিতেই এমন আয়োজন করেছেন প্রসিকিউটরা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য এমন ভুয়া মামলা আনা হয়েছে। যা অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণও নেই।”

এদিকে যদি জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হন, তবে প্রতিটি অপরাধের জন্য ট্রাম্পকে চার বছর করে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। বিচারক এই সাজা পরপর দিতে পারেন, যার অর্থ ট্রাম্পকে দীর্ঘ কারাবাসে যেতে হবে।

তবে এই অভিযোগে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিধান নেই। এমনকি সব ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলেও, ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৪ সালের প্রার্থীকে কারাগারে সাজা দেওয়া হবে কি না তা অনিশ্চিত।

৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প একসময় তার আবাসন ব্যবসার সাম্রাজ্যের তত্ত্বাবধান করতেন এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কয়েক দশক ধরে শহরের চকচকে, জাঁকজমক পূর্ণ অভিজাত একটা সমাজে বিচরণ করতেন। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো, তিনি তার নিজের শহরে একজন বিবাদী হিসাবে আদালতে উপস্থিত হলেন।

বিভিন্ন প্রাথমিক জাতীয় জরিপগুলোতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউজ পুনরুদ্ধার করার লড়াইয়ে, আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পক্ষে মনোনয়নের দৌড়ে তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷

Link copied!