হন্ডুরাসে জেলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে নারীদের জেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জেলের নিয়ন্ত্রণ নিতেই এ ‘ফেইথ অ্যান্ড হোপ’ অভিযান পরিচালনা করছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তামারা পেনাল সেন্টারে অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা জেলের ভেতর থেকে প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্র, গ্রেনেড, গোলাবারুদ, মোবাইল জব্দ করেছে। বেআইনি ইন্টারনেট সংযোগও পাওয়া গেছে।
এ জেলেই সংঘর্ষে ৪৬ জন নারী বন্দির মৃত্যু হয়েছিল। জেলটিতে ৯০০ বন্দি থাকতে পারে।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, হন্ডুরাসের ওই জেল থেকে ১৮টি পিস্তল, একটা অ্যাসল্ট রাইফেল, দুইটি মেশিন গান ও দুইটি গ্রেনেড জব্দ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্য জেলেও একই ধরনের অভিযান চালানো হবে।
তামারা জেলে বারিও ১৮ স্ট্রিট গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্যদের লড়াই হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিপক্ষ গ্যাংয়ের সদস্যরা বন্দুক নিয়ে অন্য গ্যাংয়ের সদস্যরা যে সেলে ছিল, সেখানে ঢুকে পড়েন। তারপর তারা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন এবং সেলে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভিতরে যারা ছিলেন তারা দগ্ধ হয়ে মারা যান।
এদিকে সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরই রোববার দুটি শহরে কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার।
পুলিশ প্রেস পারসন এডগার্দো বারাহোনা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর চোলোমার একটি বিলিয়ার্ডস হলে ভারী অস্ত্রধারীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ১৩ জন নিহত এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়। এছাড়া শনিবার শিল্পনগরী সান পেড্রো সুলেসহ উত্তরাঞ্চলীয় ভ্যালে দে সুলা অঞ্চলজুড়ে পৃথক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো আগামী ১৫ দিন চোলোমাতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টার পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছেন। তার এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সান পেড্রো সুলেতে কারফিউ কার্যকর হবে ৪ জুলাই থেকে।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, “সহিংসতার ঘটনায় একাধিক অপারেশন, অভিযান, আটক এবং চেকপয়েন্ট স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :