• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিস্ফোরণে রাশিয়ার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ধ্বংস’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩, ১০:৫২ এএম
বিস্ফোরণে রাশিয়ার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ধ্বংস’

ক্রিমিয়ার উত্তরে রেলপথে পরিবহন করা রাশিয়ার একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র একটি বিস্ফোরণে ‘ধ্বংস’ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অংশটি রুশ সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই এলাকায় ড্রোন হামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। সোমবার রাতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বিস্ফোরণের ফলে রেলপথে পরিবহন করা রাশিয়ার একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে।

যদিও মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে ওই বিস্ফোরণে ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেন জড়িত কি না। কিংবা কীভাবে বিস্ফোরণ হলো এবং ক্ষেপণাস্ত্র চালান ধ্বংস হলো। রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উত্তরে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা এমন এক সময় ঘটল যখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং রাশিয়া সফরে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তবে উপদ্বীপটির ঝানকোই শহরের রুশ-নিযুক্ত প্রধান বলেছেন, ওই এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছে, “অস্থায়ীভাবে দখকৃত ক্রিমিয়ার উত্তরে ঝানকোই শহরে এক বিস্ফোরণে রাশিয়ান কেএন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রেলপথে পরিবহন করা হচ্ছিল। এই বিস্ফোরণ রাশিয়ার নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে এবং ইউক্রেনীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে দিয়েছে।”

এদিকে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার ব্ল্যাক সি নৌবহরের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে কিয়েভ।

অন্যদিকে রাশিয়া-নিযুক্ত প্রশাসক ইহোর ইভিন বলেছেন, ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ড্রোন থেকে পাওয়া আঘাতের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশ্য কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেননি তিনি।

ইভিনের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন লেগেছে এবং পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে রাশিয়া সর্বশেষ ২০২২ সালের অক্টোবরে ক্রিমিয়ান বন্দরনগরী সেভাস্তোপোলে ব্ল্যাক সি ফ্লিটে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছিল। সেসময় রাশিয়া বলেছিল, হামলায় ৯টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এতে একটি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Link copied!