ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গাটউইক যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বৃহস্পতিবার (১২ জনু) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন, বিমানে থাকা ২৪২ জন আরোহীর কারোই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবার ইন্ডিপেন্ডেন্ট
আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, ‘ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খুবই মর্মান্তিক। এখন পর্যন্ত জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।’ উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে।
বিমানটিতে ১২ জন ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক।
দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল, অ্যাম্বুলেন্স ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিমানটি ওঠার পরপরই বি. জে. মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের কাছ থেকে নেয়া ভিডিওতে দেখা গেছে কালো ধোঁয়ার বিশাল স্তূপ, ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা বিমানের অংশ এবং জরুরি উদ্ধারকারী দল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটি হৃদয়বিদারক একটি দুর্ঘটনা এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দুর্ঘটনার দৃশ্যকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১২ জনু) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। এই দুঃখের সময়ে আমাদের প্রার্থনা ও সহানুভূতি তাদের সঙ্গে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ভারতের জনগণ ও সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।