• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পানির নিচে হামলায় সক্ষম উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ড্রোন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৩, ০১:৩৪ পিএম
পানির নিচে হামলায় সক্ষম উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ড্রোন

পানির নিচে হামলায় সক্ষম একটি পারমাণবিক ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ৪ থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে ‘হেইল-২’ নামে এ ড্রোনের পরীক্ষা চালানো হয়। কোরীয় ভাষায় যার অর্থ ‘সুনামি’। শত্রুর পানির মধ্যে লুকিয়ে হামলা চালাতে এর ডিজাইন করা হয়েছে বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চালানো সর্বশেষ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে উত্তর কোরিয়া পানির নিচে পরমাণু হামলায় সক্ষম ‘ড্রোন’ পরীক্ষা চালিয়েছে।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পানির নিচ দিয়ে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম এ কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে। ড্রোন ‘হেইল-২’ ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে পানির নিচে এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে একটি সিমুলেটেড লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।

জাহাজ ও সাবমেরিনে হামলা চালাতে পারে নতুন ধরনের এই ড্রোন, যা সমুদ্রের গভীরে বিস্ফোরিত হয়ে ছড়াতে পারে তেজস্ক্রিয়তার সুনামি। ধ্বংস করতে পারে শত্রুর জাহাজ ও বন্দর। সমুদ্রের প্রায় ৫০০ ফুট গভীরে গিয়ে আঘাত হানে পারমাণবিক আন্ডারওয়াটার ড্রোন।

এর আগে, গত মাসেই ‘হেইল-১’ নামে আরেকটি আন্ডারওয়াটার ড্রোন পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। গত ২১ মার্চ ওই ড্রোনটিকে দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশের পানিতে রাখা হয়। বিস্ফোরণের আগে প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ মিটার (২৬০ থেকে ৪৯০ ফুট) গভীরতায় ৫৯ ঘণ্টা ১২ মিনিট ধরে পানির নিচ দিয়ে চলে ২৩ মার্চ পূর্ব উপকূলে বিস্ফোরিত হয় সেটি।

তবে বিশ্লেষকরা পানির নিচের যানটি মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রস্তুতির বিষয় প্রদর্শন করতে অব্যাহতভাবে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’। এটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া। এ মহড়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং। তাই তারা মহড়া শুরুর আগে-পরে শক্তি প্রদর্শন করে দেশটি।

Link copied!