• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বোমাবর্ষণ থামা না পর্যন্ত আলোচনা নয়: আরএসএফ প্রধান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ১১:৩২ এএম
বোমাবর্ষণ থামা না পর্যন্ত আলোচনা নয়: আরএসএফ প্রধান

সুদানে চলমান পরিস্থিতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহানকে দায়ী করেছেন বেসামরিক বাহিনী আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেদতি)। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বোমা হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।

গত কয়েকদিনের লড়াই নিয়ে শনিবার (২৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, “গত তিনদিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর পর থেকে সেনাবাহিনী বিরতিহীন বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না।”

এদিকে লড়াই বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দক্ষিণ সুদানে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন জেনারেল বুরহান। সেনা ও আরএসএফের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপের দেশগুলো ব্যাপকভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। পাশাপাশি সুদানে থাকা কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে নিজ নিজ দেশগুলো।

হেমেদতি বলেন, “আলোচনার পথ খোলা ছিল, তার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাখা উচিত। শত্রুতা বন্ধ করুন। এরপরে আমরা আলোচনা করতে পারি। জেনারেল বুরহানের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের অনুগতদের সরকারে আনার জন্য তাকে এখন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে গণ্য করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বুরহানকে চালাচ্ছে কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীগুলো। তিনি তাদের স্বার্থকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমি বেসামরিক সরকারের অপেক্ষায় আছি, যেটি একটি সম্পূর্ণ বেসামরিক সরকার হবে। আমার নীতি এটাই। আরএসএফ সদস্যরা সেনাবাহিনীর শত্রু ছিল না। সংকটকালে দেশকে রক্ষায় সেনাবাহিনী ও আরএসএফ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। আমরা আপনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করব না। দয়া করে আপনারা নিজ নিজ ডিভিশনে চলে যান।”

দেশটিতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় লড়াইয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন ৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

এ পর্যন্ত মোট ৩ বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ তিন দিন বাড়াতে সম্মত হয় দুই বাহিনী।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির, যিনি প্রায় ৩ দশক সুদানের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছিলেন। দেশটির সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ঘটে এই অভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানের মূল নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং জেনারেল হেমেদতি উভয়েই।

রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সুদানের ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশ্রয় দিতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। তার শাসনামলের ৩০ বছর কঠোর ইসলামি শাসন ও শরীয়া আইন জারি ছিল সুদানে।

Link copied!