• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘মস্তিষ্কখেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩, ১২:০৭ পিএম
‘মস্তিষ্কখেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ‘মস্তিষ্কখেকো’ বিরল অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ট্যাপের পানি দিয়ে নাক পরিষ্কারের সময় তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন।

শুক্রবার (৩ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মগজখেকো এই অ্যামিবা নেগেলেরিয়া ফাউলেরি নামে পরিচিত।

দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডার শার্লট কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি সম্ভবত ট্যাপের পানি দিয়ে নাকের সাইনাস পরিষ্কারের সময় মস্তিষ্ক খাওয়া এই অ্যামিবাতে সংক্রমিত হয়েছেন।

যদিও কর্তৃপক্ষ বলছেন, এটি বিপজ্জনক নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, এই সংক্রমণ সবসময়ই মারাত্মক।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, একজন রোগী সম্ভবত ট্যাপের পানি দিয়ে নাকের সাইনাস ধুয়ে ফেলার অভ্যাসের কারণে সংক্রমিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) অঙ্গরাজ্যটির স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার সংক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

মুখপাত্র জে উইলিয়ামস জানিয়েছেন, এই সংক্রমণ কীভাবে ঘটেছে তা জানতে একাধিক সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনের অ্যামিবা সাধারণত সুইমিং পুল, হ্রদ এবং পুকুরের মতো উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। এটি নাক দিয়ে প্রবেশ করলে মানুষের মস্তিষ্কে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে। তবে এটি মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে সেটিকে নিরাপদ বলেই মনে করা হয়। কারণ পাকস্থলীর অ্যাসিড এই অণুজীবকে মেরে ফেলে। যারা সংক্রমিত হন তারা প্রাইমারি অ্যামেবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস নামে একটি রোগে আক্রান্ত হয়।

এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, বিভ্রান্তি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, খিঁচুনি এবং হ্যালুসিনেশন।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর প্রায় তিনজন আমেরিকান এই অ্যমিবায় সংক্রমিত হয়। যাদের বেশিরভাগই মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়েন। ১৯৬২ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যামিবায় সংক্রমিত ১৫৪ জনের মধ্যে মাত্র চারজন বেঁচে ছিলেন।

সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, শীতকালে এই অ্যামিবার সংক্রমণ একেবারেই থাকে না।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, সংক্রমণ এড়াতে নাকের ভেতরের অংশ অপরিশোধিত ট্যাপের পানি দিয়ে ধোয়া বা পরিষ্কার করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে জীবাণুমুক্ত কিংবা ডিস্ট্রিল্ড পানি ভালো বিকল্প হতে পারে।

এছাড়া ট্যাপের পানি এক মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ব্যবহার করা যেতে পারে। একইসঙ্গে সুইমিং পুলে সাঁতার বা গোসলের সময় কিংবা ঝর্ণার পানি ব্যবহার করার সময় নাকের ভেতরে পানি না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Link copied!