• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জেনিন ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে জনরোষের মুখে মাহমুদ আব্বাস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম
জেনিন ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে জনরোষের মুখে মাহমুদ আব্বাস

ফিলিস্তিনের জেনিন আশ্রয় ক্যাম্পে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী ইসরায়েলি হামলার এক সপ্তাহ পর স্থানটি পরিদর্শনে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বুধবার শরণার্থী শিবিরে যান তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনিদের জানাজায় যোগ দিতে এলে জনরোষের মুখে পড়েন আব্বাস প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা। সেই ক্ষোভ কমাতেই নিজে এলেন প্রেসিডেন্ট। প্রতিশ্রুতি দেন, শিগগিরই শুরু হবে জেনিন ক্যাম্পের সংস্কার।

আব্বাস বলেন, অতীতের যে অবস্থায় ছিল শরণার্থী শিবির, তার থেকে ভালো অবস্থানে নেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। দ্বিতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো- বজায় রাখতে হবে একতা-নিরাপত্তা ও সুরক্ষা।

গেলো ৩ জুলাই ক্যাম্পে বিশাল পরিসরে আগ্রাসন চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বহর। দু’দিনের বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ যায় শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনির। মৃত্যুঝুঁকিতে ৩ হাজারের মতো মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হন।

৮৭ বছর বয়সী আব্বাস ২০১২ সালের পর জেনিন সফর করলেন। এ সময় তিনি জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।

ক্যাম্পের বাসিন্দা সাইদাহ বলেন, “আমরা চাইতাম যে সে (প্রেসিডেন্ট) সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকুক, শুধু এই ক্ষেত্রে নয়। যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখানে ছিল, সে কোথায় ছিল? কেন তিনি আমাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য ছেড়ে গেলেন? … আমাদের বাচ্চারা চলে গেছে। তারা শহীদ হয়েছে। ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল আমরা দরজা-জানালা প্রতিস্থাপন করব এবং পুনর্নির্মাণ করব। তবে আমরা প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম সে আমাদের সঙ্গে থাকুক। তার সফরের উদ্দেশ্য কী?”

নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি বলেন, প্রেসিডেন্ট যখন এলেন, আমি বাড়িতেই ছিলাম কারণ আমি জানতাম তার সফরে কোনো পার্থক্য হবে না। আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি এবং আমার পরিবার কোথায় যাবে। আব্বাস শুধু ছবি তোলার জন্য এসেছেন।”

Link copied!