• ঢাকা
  • বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

চড়কাণ্ডে নতুন করে প্রকাশ্যে এলো শিক্ষিকার সঙ্গে ম্যাক্রোঁর ‘প্রেমকাহিনি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
চড়কাণ্ডে নতুন করে প্রকাশ্যে এলো শিক্ষিকার সঙ্গে ম্যাক্রোঁর ‘প্রেমকাহিনি’
ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ ও এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ছবি : সংগৃহীত

প্রেম মানে না জাতি-ধর্ম, প্রেম মানে না সমাজ। প্রেমের টানে ইতিহাসের শুরু থেকেই পৃথিবীতে ঘটেছে অবিস্মরণীয় নানা ঘটনা। প্রেমের টানে সিংহাসন ছেড়ে পথিক হয়ে গেছেন কেউ কেউ, আবার প্রেমের টানেই কেউবা আবার আপন করে নিয়েছেন পৃথিবীর সব দুঃখ-গাঁথা। সম্প্রতি চড়কাণ্ডে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁর সম্পর্কের কথা নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে নেট-দুনিয়া রীতিমতো তোলপাড়।

বয়সের ব্যবধান, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও রাজনৈতিক উচ্চতার মধ্যেও টিকে থাকা এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-ব্রিজিট ম্যাক্রোঁর প্রেম ও বৈবাহিক সম্পর্ককে অনেকেই ব্যতিক্রমী এক ভালোবাসার দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখেন।

জানা গেছে, ম্যাক্রোঁ যখন অ্যামিয়ঁ শহরের লা প্রোভিদঁস ক্যাথলিক স্কুলের ১৫ বছর বয়সী ছাত্র, তখনই তার পরিচয় হয় ৩৯ বছর বয়সী নাট্যশিক্ষিকা ব্রিজিট ত্রনিয়োর সঙ্গে। ব্রিজিত ছিলেন বিবাহিত এবং তিন সন্তানের মা। কিন্তু স্কুল থিয়েটারের সেটেই শুরু হয় তাদের ঘনিষ্ঠতা। সে সময়ের গল্প বিশদভাবে তুলে ধরেছেন ফরাসি সাংবাদিক সিলভি বোমেল, তার আলোচিত বই ‘ইল ভনেই দাভোয়ার ডিজ-সেত আন’ (তার বয়স তখন সবে সতেরো)-এ।

সিলভি বোমেল লিখেছেন, এই সম্পর্ক নিয়ে স্কুলে ও শহরে তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। অনেকেই এটিকে গ্রহণ করতে পারেনি। ব্রিজিটকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। নিজের পরিবার, সন্তান এবং পেশাগত অবস্থান নিয়ে। এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেই বয়সেই ছিলেন চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী ও পরিণত মানসিকতার অধিকারী। তিনি জানতেন কী চান—এবং সেটি ছিল ব্রিজিট।

সিলভি বোমেলের ভাষ্যমতে, ম্যাক্রোঁর বাবা-মা প্রথমে এতটুকু ছেলের এমন সম্পর্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এবং তাকে প্যারিসে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে সম্পর্কটা ভেঙে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্পর্ক টিকে থাকে এবং পরিণয়ে গড়ায়।

২০০৬ সালে ব্রিজিত আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ করেন। এরপর ২০০৭ সালের ২০ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাক্রোঁ-ব্রিজিটের বিয়ে। বিয়ের সময় ম্যাক্রোঁর বয়স ছিল ২৯, আর ব্রিজিটের ৫৪।

২০১৭ সালে ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই সঙ্গে ব্রিজিট হন ফার্স্ট লেডি। যার অতীত নিয়ে বহু বিতর্ক থাকলেও, তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, শিক্ষা সংক্রান্ত ভূমিকা এবং রাষ্ট্রীয় উপস্থিতি আজ প্রশংসিত।

এদিকে ভিয়েতনাম সফরের শুরুতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিট মধ্যে ঝগড়া বাধে। এরপর প্রকাশ্যে ম্যাক্রোঁকে ধাক্কা মেরেছেন তার স্ত্রী। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এ ঘটনা নিয়ে বার্তা সংস্থা এপির এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর তার বিমানের দরজা খোলা হয়েছে। ওই সময় হঠাৎ করেই ম্যাঁক্রোর মুখে দুই হাত দিয়ে সজোরে ধাক্কা মারেন তার স্ত্রী ব্রিজিট। এতে কিছুটা বিব্রত হয়ে যান প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো। তবে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে নিজেকে সামলে নেন তিনি। এরপর বাইরে অপেক্ষমাণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি। 

তবে তার স্ত্রী ওই সময়ও বিমানের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন। এতে তার মুখের অভিব্যক্তি বোঝা যায়নি। এর কিছুক্ষণ পর এই দম্পতি বিমানের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসতে থাকেন। কিন্তু অন্যবারের মতো স্বামীর হাত ধরে আর নামেননি ব্রিজিট।

ম্যাঁক্রোর দপ্তর এসব ছবির সত্যতাকে প্রথমে উড়িয়ে দিয়েছিল। তারা বলেছিল এগুলো এডিট করা। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, ম্যাঁক্রোর স্ত্রী যে তাকে ধাক্কা মেরেছেন সেটি সত্যি তথ্য।

পরবর্তীতে ম্যাঁক্রোর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জানান, প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ‘ঝগড়া’ হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

ম্যাক্রোঁর বহরে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী একে-অপরের সঙ্গে মজা করছিলেন।

Link copied!