• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ছাত্রীদের বিষ প্রয়োগকারীদের ‘কঠিন শাস্তি’ পেতে হবে: খামেনি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩, ১১:২৬ এএম
ছাত্রীদের বিষ প্রয়োগকারীদের ‘কঠিন শাস্তি’  পেতে হবে: খামেনি

ইরানে গত নভেম্বরে ‘পরিকল্পিতভাবে’ ৭০০ স্কুলছাত্রীকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিক্ষোভ করছেন অভিভাবকরা। বিষ প্রয়োগকারীদের ‘কঠোর শাস্তি’ পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) একটি বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে খামেনি এ মন্তব্য করেন।

খামেনি বলেন, “বিষ প্রয়োগ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। অপরাধীদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ঘটনাগুলো পিতামাতা এবং ইরানের সমাজের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোকে এই অপরাধের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে যেই জড়িত হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া যাবে না।”

তবে এই বিষ প্রয়োগের পেছনে কে বা কোন গোষ্ঠী জড়িত থাকতে পারে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দেননি খামেনি।

তার এমন মন্তব্যের পরপরই ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আদালত দ্রুত এ ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

দেশটিতে স্কুলছাত্রীদের বিষ প্রয়োগের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩০ নভেম্বর। সেদিন পবিত্র শহর কোমের নুর টেকনিক্যাল স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে ১০ জন মেয়ে এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় লোরেস্তান প্রদেশের বোরুজার্ড শহরের চারটি স্কুলে কয়েক সপ্তাহে অন্তত ১৯৪ জন মেয়েকে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেছেন, মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করতে কিছু লোক ‘পরিকল্পিতভাবে’ এ কাজ করেছে। যদিও বিষক্রিয়ায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

তবে অধিকাংশ ছাত্রীর শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনেস পানাহি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে কিছু লোক সব স্কুল, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলগুলো বন্ধ করতে চেয়েছিল। সরকার নিশ্চিত হয়েছে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তবে মেয়েদের যে রাসায়নিক দিয়ে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, তা সামরিক গ্রেড নয়। এটি সহজলভ্য। এই শিক্ষার্থীদের কোনো জটিল চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। একটু বিশ্রাম নিলেই হবে।”

Link copied!