• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল ইরান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ১১:৫২ এএম
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল ইরান
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পর্বতঘেরা ভারজাগান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ছবি : সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল তেহরান। তবে তাদের এ আবেদনে সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটন। সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। রোববার দুপুরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চাইছিল ইরান।

ম্যাথু মিলার আরও বলেন, গত রোববার কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৯ আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও তারা বলেছে, রাইসির হাতে ‘রক্ত’ লেগে আছে।

এর আগেগ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর মার্কিন সিনেটর রিক স্কট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছিলেন, “রাইসি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তবে বলতে হবে, বিশ্ব এখন আগের চেয়ে নিরাপদ এবং ভালো জায়গা হয়ে উঠেছে। ওই (রাইসি) মন্দ লোকটি অত্যাচারী ও সন্ত্রাসী ছিলেন। তাকে কেউ ভালোবাসত না, সম্মান করত না। কেউ তার শূন্যতা অনুভব করবে না।”

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি গত রোববার দুপুরের দিকে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পর্বতঘেরা ভারজাগান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

হেলিকপ্টারটিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ সাতজন ছিলেন। ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় উদ্ধার তৎপরতার পর গতকাল সোমবার সকালে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর রাইসিসহ হেলিকপ্টারটির সব আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ইরান সরকার।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!