• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মুক্তিপণের টাকা কী করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
মুক্তিপণের টাকা কী করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশের জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন।  তারা এখন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেড এই জাহাজ পরিচালনা করছিল। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল।

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মনি’ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তিন মাসের মাথায় মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ছাড়িয়ে এনেছিল কবির গ্রুপ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মি করে বিপুল অর্থ আয় করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। মুক্তিপণের সে অর্থ আবার দুহাত খুলেও খরচ করে তারা।

জলদস্যুদের অনেকেই মুক্তিপণের অর্থ পার্টি করে, মদ খেয়ে, নারীদের পেছনে উড়িয়ে দেয়। অনেকে বড় বাড়ি করে। তবে তাদের পছন্দের একটি কাজ নাকি গাড়ি কেনা। তাদের প্রিয় গাড়ি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার। যার একেকটির দাম ৩০ হাজার ডলার। সোমালিয়ায় জ্বালানির দাম অনেক বেশি হওয়ায় এর পেছনে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে তারা।

এদিকে সোমলিয়ায় জলদস্যুদের বেশ সম্মান করা হয়। জলদস্যুদের মধ্যে একটা ধারণা প্রচলিত আছে, গাড়ি নষ্ট হওয়ার পর সেই গাড়ি মেরামত করলে তাদের সম্মান নষ্ট হবে। তাই তারা গাড়ি নষ্ট হলে তা ঠিক করে না। নতুন আরেকটি গাড়ি কিনে নেয়।

Link copied!