অবরুদ্ধ গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, “গাজা শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন গুতেরেস।
এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, “প্রতিদিন শত শত ছেলে-মেয়ে নিহতের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। শেষ তিন দশকে কোনো সংঘাতে চার সপ্তাহে এতজন সাংবাদিক কোথাও নিহত হয়নি। জাতিসংঘের ইতিহাসে এতো কম সময়ে জাতিসংঘের এতো সহায়তা কর্মী নিহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।”
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, “এ অমীমাংসিত বিপর্যয় প্রতি ঘণ্টায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
গুতেরেস বলেন, ইসরায়েলি সেনারা গাজার হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, জাতিসংঘের সহায়তা ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব ফিলিস্তিনের সশস্ত্র বাহিনী হামাসের সমালোচনা করে বলেন, “কেউই নিরাপদ নয়। হামাস ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালাচ্ছে।”
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের করা হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক ছিলেন। এর জেরে গাজায় ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালায়। ফলে বিদ্যুৎ, খাবার, জ্বালানিসহ অনেক সহায়তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় গাজা।
গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পরিষ্কারভাবে ইসরায়েল গুরুতর অপরাধ করছে। গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের কারণে অর্ধেকের বেশি হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে।
গুতেরেস বলেন, “গাজায় হওয়া হামলা মানবিকতার সংকটের থেকেও বেশি। এটি মূলত মানবতার সংকট।”