• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

যে চার কারণে বাইডেনকে হটাতে পারেন ট্রাম্প


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ১০:৪০ এএম
যে চার কারণে বাইডেনকে হটাতে পারেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে দুবার মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। এ ছাড়া ফৌজদারি অভিযোগের নানা মামলাও রয়েছে তার ওপর। এরপরও হোয়াইট হাউজের গদিতে আবার বসার সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের।  

এদিকে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে আবারও মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী হলে নির্বাচনে বাইডেনের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। সেই নির্বাচনে চার কারণে জয় পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র শাসন করতে পারেন বহুল আলোচিত ধনকুবের ট্রাম্প।  

নাখোশ ভোটার

জো বাইডেনের ক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে এসেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে। আর ২০২২ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ। গত অক্টোবরে তা হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

তবে তরুণ ভোটারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বলেন, নিত্যপণ্য, গাড়ি-বাড়ি, শিশু ও বয়স্কদের দেখভালসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য ও সেবা খাতে খরচ বেড়েছে। তবে সে অনুযায়ী বাড়েনি তাদের বেতন। জনমত জরিপের তথ্য বলছে, ভোটারদের একটি বড় অংশ মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানদের হাতে মার্কিন অর্থনীতি ভালো থাকে বলে মনে করছে ভোটারদের এক অংশ।

ভয় ধরানো

অর্থনীতির বাইরে আরও অনেক কারণে ভোটাররা দোলাচলে রয়েছেন। ট্রাম্প ভোটারদের কাছে নানা দুশ্চিন্তার কথা তুলে ধরেন। তাঁর ভাষ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে বহু শ্বেতাঙ্গ নাগরিক রয়েছেন। তারপরও এই দেশ আরও নানা জাতি ও বর্ণের মানুষের উপস্থিতিতে দিন দিন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং সাংস্কৃতিকভাবে বদলে যাচ্ছে।

নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছে মার্কিনিরা। তাদের এই ভয় ধরানো বিষয়গুলোই রং চড়িয়ে কাজে লাগাচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি একদিকে লোকজনকে উসকে দিয়ে ‘আগুন লাগান’, অন্যদিকে সমাধান দিয়ে সেই ‘আগুন নেভানোর’ কাজ করেন। ট্রাম্প প্রথমে ঘোষণা দেন, দেশ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। আর তারপর নিজেকেই এ পরিস্থিতিতে রক্ষাকর্তা হিসেবে সামনে আনেন।  

ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে ভুল দেখেন না অনেক ভোটার

ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই তার সমালোচনা করেন। ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি অনেক গণমাধ্যমও তাকে হোয়াইট হাউসের জন্য যোগ্য মনে করে না। তবে এমন লাখ লাখ ভোটার রয়েছেন, একথা মানতে নারাজ।

এমনকি ট্রাম্পের অনেক সমর্থক সাবেক এই প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার বলে মনে করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের ওপর একটি জরিপে দেখা যায়, সমর্থকদের অন্তত অর্ধেক জানান, ট্রাম্পকে যদি কোনো অপরাধে সাজাও দেওয়া হয়, তারপর তাকে ভোট দেবেন তারা।

বাইডেনের ঘাড়ে সব দোষ

আবাসন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও চিপ উৎপাদনে বিপুল সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান নীতি নেন জো বাইডেন। তবে সেই নীতি যে জীবনে পরিবর্তন এনেছে, তা বেশির ভাগ মার্কিনিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দুটি যুদ্ধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি।

Link copied!