• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে অস্ট্রেলিয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ১০:২২ এএম
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে অস্ট্রেলিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে অস্ট্রেলিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৮৯৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের এসব ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি ত্রিদেশীয় ‘অকাস’ প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে তিনটি মার্কিন ভার্জিনিয়া শ্রেণীর পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই সাবমেরিনগুলোতে ব্যবহার করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর “সক্ষমতা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি এবিসিকে বলেছেন, এই চুক্তিটি আমাদেরকে উপকূলের আরও বাইরে পৌঁছতে সক্ষমতা প্রদান করবে। যাতে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে নিরাপদ রাখতে পারি।

পেন্টাগন বলেছে, এই চুক্তি পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সক্ষমতাকে আরও উন্নত করবে। এছাড়া মার্কিন নৌবাহিনী এবং অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানের ক্ষেত্রেও যাতে অস্ট্রেলিয়া অবদান রাখতে পারে সে সক্ষমতাও অর্জন করবে।

প্রসঙ্গত, চীনকে ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। গত ১৪ মার্চ এই তিন দেশের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অস্ট্রেলিয়া পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়োগোর নৌঘাঁটিতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বৈঠকে তারা তিন দেশের সমন্বয়ে গড়া প্রতিরক্ষা জোট ‘অকাস’ চুক্তিতে সমর্থনের কথা বলেন।

এদিকে একে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০২১ সালে এ অঞ্চলে একটি বিশেষ কৌশলগত নিরাপত্তা চুক্তি হিসেবে ‘অকাস’ চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় চুক্তির অধীনে সাবমেরিন ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়েও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যক্তি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পল কিটিং এই চুক্তিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ‘সবচেয়ে খারাপ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এই চুক্তি দেশকে ‘বিপজ্জনক পথে’ নামিয়ে দেবে।

Link copied!