• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সোমালিয়ার যে গণমাধ্যমের সব কর্মী নারী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
সোমালিয়ার যে গণমাধ্যমের সব কর্মী নারী
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করছেন বিলানের সাংবাদিকরা । সংগৃহীত

ফাথি মোহাম্মদ আহমেদ সোমালিয়ায় প্রথম নারীদের দ্বারা চালিত গণমাধ্যম পরিচালনা করেন। যেখানে আফ্রিকার দেশটিকে বলা হয় সাংবাদিকতার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গাগুলোর মধ্যে একটি।

বিলান নামক গণমাধ্যমটিতে ফাথি প্রধান সম্পাদক হিসাবে কাজ করেন। স্থানীয় ও কখনও কখনও আন্তর্জাতিক দর্শকদের জন্য প্রতিদিনের সংবাদের মিশ্রণ তৈরি করে গণমাধ্যমটি।

বিলান শব্দটির অর্থ আলো জ্বালানো। গণমাধ্যমটি তার প্রায় ১৮ মাসের যাত্রায় কুসংস্কার ও নিরাপত্তাহীনতা কাটিয়ে উঠে সোমালিয়ার সবচেয়ে নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে তুলে ধরছে। যার মধ্যে রয়েছে নারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়া মাদক সমস্যা, অ্যালবিনিজম, এইচআইভি আক্রান্ত নারী ও পিরিয়ড৷

ফাথি বলেন, “কখনও কখনও আমার আত্মা আমাকে বলে যে আমি নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক চাপের কারণে কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। যাইহোক, এটি এমন একটি ক্যারিয়ার যা আমি আমার শৈশব থেকে পছন্দ করতাম এবং একটি স্বপ্ন যা এখনও আমার মধ্যে বেঁচে আছে।”

যদিও বিলান জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) সমর্থিত একটি গণমাধ্যম, ফাথি ও তার দলের জন্য সাফল্য সহজ বা ঝুঁকিমুক্ত ছিল না।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস অনুসারে, সোমালিয়াতে ২০১০ সাল থেকে ৫০ এর অধিক সাংবাদিক হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছেন। যার ফলে আফ্রিকার এই দেশটিকে বলা হয় সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ।

সোমালিয়াতে পুরুষতান্ত্রিকতা সমাজের অনেক গভীরে প্রোথিত। মানুষ জনসমক্ষে নারীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা কঠিন বলে মনে করেন বলে জানান ফাথি। যদিও দেশটির কিছু মানুষ অভিযোগ করছে, বিলানের প্রতিবেদন তাদের দেশের সুনাম নষ্ট করছে।

ফাথি বলেন, “আমরা সোমালিদের চিনি, তাদের জন্য মেয়েদের বিসয়গুলো লজ্জাজনক। যেমন, বয়ঃসন্ধির লক্ষণ- মাসিক, পিরিয়ড। শ্রেণিকক্ষে মেয়েদের নারীত্বের লক্ষণগুলো সম্পর্কে শেখানো হয় না।”

ডন

Link copied!