• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অভিবাসীদের গণহত্যার অভিযোগ সৌদির বিরুদ্ধে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম
অভিবাসীদের গণহত্যার অভিযোগ সৌদির বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনি সীমান্তে অভিবাসীদের গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সোমবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়, শত শত মানুষকে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মধ্যে অনেকেই ইথিওপিয়ান, যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন পাড়ি দিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছায়।

এইচআরডব্লিউর ‘তারা আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছে’ নামক প্রতিবেদনে অভিবাসীদের সাক্ষ্য রয়েছে। তারা বলেছেন, তদের গুলি করা হয়েছে।

অভিবাসীরা বিবিসিকে বলেন, গুলির আঘাতে তাদের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা পথে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন বলেও জানান। 
যদিও সৌদি আরব সীমান্তে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিবিসির কাছে অভিবাসীরা সীমান্ত পার হওয়ার ভয়ংকর রাতের কথা বলেছেন। নারী ও শিশুসহ ইথিওপিয়ান এক অভিবাসী দল তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে যাচ্ছিলেন। তারা সৌদি সীমান্ত অতিক্রম করার সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলির মুখোমুখি হন।
 
সেই দলের একজন মুস্তাফা সোফিয়া মোহাম্মদ (২১) বিবিসিকে বলেন, “গত বছরের জুলাই মাসে সীমান্ত পার হওয়ার সময় আমাদের দলের বেশ কয়েকজন নিহত হন। আমি লক্ষ করিনি যে আমিও গুলিবিদ্ধ হয়েছি। যখন উঠে হাঁটার চেষ্টা করি তখন আমি পায়ের সাড়া পাচ্ছিলাম না।”

মুস্তাফা সোফিয়া মোহাম্মদ আরও জানান, এটা ছিল বিপদ, অনাহার এবং সহিংসতায় ভরা তিন মাসের যাত্রার নিষ্ঠুর, বিশৃঙ্খল সমাপ্তি।

বিবিসি জানায়, এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, মুস্তাফার বাঁ পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে মুস্তাফার পা হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়। এখন ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করা মুস্তাফা ইথিওপিয়াতে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন।

দুই সন্তানের জনক মুস্তাফা বলেন, “আমি সৌদি আরবে গিয়েছিলাম আমার পরিবারকে উন্নত জীবন দেওয়ার আশা। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। এখন আমার বাবা-মা আমার জন্য সবকিছু করেন।”

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ লাখের বেশি অভিবাসী সমুদ্র অতিক্রম করে হর্ন অব আফ্রিকাখ্যাত ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই যাত্রাপথে অনেকেই কারাবন্দী এবং নির্যাতনের মুখোমুখি হন।  

Link copied!