• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

মিয়ানমারের আরও কয়েকটি এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩, ১১:৫৪ পিএম
মিয়ানমারের আরও কয়েকটি এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে
মিয়ানমারের একটি সড়কে বিদ্রোহীরা। ফাইল ছবি

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর দখল থেকে নামহসান নামের একটি বাণিজ্যিক শহর দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এমন দাবি করেছে দেশটির ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী জোটের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।

গত অক্টোবর মাসে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে একজোট হয়ে মাঠে নামে কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠনের জোট মিয়ানমার ব্রাদারহুড। এই জোটে রয়েছে, আরাকান আর্মি (এএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আর্মি (এমএনডিএএ) ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। জোটটি ইতিমধ্যে থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স নামেও পরিচিতি পেয়েছে। সশস্ত্র ওই জোটটির সঙ্গে  জান্তা বাহিনীর নিয়মিত সংঘাতের ঘটনাও ঘটছে।

বিদ্রোহী জোটটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামো এবং চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত  বেশকিছু কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী।

জানা গেছে, চীনের মধ্যস্থতায় থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় বেইজিং। সে কারণে গত কয়েকদিন ধরে এমএনডিএর অধীনে থাকা এলাকাগুলোতে কোনো রকমের সংঘর্ষ হয়নি। তবে টিএনএলএ ও এএ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়মিত ঘটেই চলছে।

টিএনএলএ জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার নামহসান নামের বাণিজ্যিক শহরটি দখলে নেয় টিএনএলএ। ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোনে কিইয়াও বলেছেন ‘আমরা শহরটি দখলে নিয়েছি।’

তারা আরও জানিয়েছে, নামহসানের পাশপাশি চীন সীমান্তের কাছে মুসে শহরের ১০৫ কি.মি বাণিজ্যিক এলাকাও তারা দখলে নিয়েছে।

ফেসবুকে টিএনএলএ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গোষ্ঠীটির নেতারা নামহসান শহর পরিদর্শন করছেন এবং বন্দী সেনাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

এলাকাটির দখল নিয়ে গত শুক্রবার মিয়ানমার টেলিভিশনে খবর প্রচারিত হয় যে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে এলাকাটির দখল নিয়ে তুমুল লড়াই অব্যাহত আছে।

থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের বাহিনীকে পরাস্ত করে তারা ৪২২টি সেনাঘাঁটি ও ৭টি শহর দখল করে নিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, চলমান এই সংঘাতের কারণে মিয়ানমারে ৫ লাখের বেশি মানুষকে উদ্বাস্তু হতে হয়েছে।

Link copied!