• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফিলিস্তিনিদের জন্য অন্য রকম এক লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
ফিলিস্তিনিদের জন্য অন্য রকম এক লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত শুনানি হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ সালের  ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর পর গাজায় স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী। 

ইসরায়েলের এ হামলা থামানোর জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কোনো দেশ বা সংস্থা। আরব দেশগুলোকেও কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে লড়াই করতে এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মামলার অভিযোগের বিষয়ে দুই দিনের শুনানি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) শুরু হয়।

গাজায় টনে টনে বোমা ফেলছে ইসরায়েল

শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা বলেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান একটি রাষ্ট্র-পরিচালিত গণহত্যার অভিযান। ইসরায়েলের এই অভিযানের লক্ষ্য ফিলিস্তিনি জনগণকে নিশ্চিহ্ন করা।
দক্ষিণ আফ্রিকা গত ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা আইসিজের বিচারকদের কাছে জানানো আরজিতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে এই সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থার আরোপ করতে বলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আকাশ-স্থল হামলার লক্ষ্য গাজা উপত্যকাটিকে গুঁড়িয়ে জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।

ইসরায়েলি হামলায় গাজার অনেকটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালায়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
 

ইসরায়েলের ভাষ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।
 

Link copied!