• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ সফর ১৪৪৬

যে ৬টি যুদ্ধ থামানোর দাবি করছেন ট্রাম্প


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
যে ৬টি যুদ্ধ থামানোর দাবি করছেন ট্রাম্প
ছবি : সংগৃহীত

ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন দাবি করেছে, তারা ইসরায়েল ও ইরান, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তান, সার্বিয়া ও কসোভো এবং মিসর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে সংঘাত মীমাংসায় ভূমিকা রেখেছে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন এ দাবিগুলোকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করছে। কিছু ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিগুলো পুরোপুরি সত্যও নয়। যেমন কঙ্গোর মতো দেশগুলোয় সহিংসতা চলছেই। কাতারের দোহায় শান্তিচুক্তির জন্য সোমবারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে রুয়ান্ডা–সমর্থিত বিদ্রোহীরা তাতে সাড়া দেননি।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও ইরানে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এরপর ইরানকে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে চাপ দিয়েছে তারা। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গত মে মাসের সংঘাত থামাতে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি।

মিসর ও ইথিওপিয়াও তাদের সংঘাতের মূল কারণ সমাধানে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। নীল নদে ইথিওপিয়া নির্মিত একটি বাঁধ নিয়েই মূলত দুই দেশের বিরোধ চলছে। আর সার্বিয়ার দাবি, কসোভোর সঙ্গে যুদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনাই তাদের ছিল না। অথচ ট্রাম্প সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে সংঘাত ঠেকানোর জন্য নিজের কৃতিত্ব দাবি করে থাকেন।

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্প নিজেই বিভিন্ন সময়ে বলেছেন যে তিনি এসব সংঘাতের সমাধানে যুদ্ধবিরতি চান। কিন্তু এখন তিনি তার সুর পাল্টাতে চাইছেন এবং ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন।

ট্রাম্প যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চাইছেন না, সে ঘোষণা এসেছে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার আগে ইউক্রেনকে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করতে হবে।

ইউক্রেনে চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এ প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুতিন চান রাশিয়া কোন কোন এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে, তা নির্ধারণ করতে। আর কিয়েভ চায়, কোনো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক।

ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের এ দাবির পক্ষে নানা বিতর্ক রয়েছে।

Link copied!