আফ্রিকার দেশ চাদে গণতান্ত্রিক শাসনের দাবিতে বিক্ষোভে নেমে নিহত হয়েছেন ৫০ জন, আহত হয়েছেন আরও ৩ শতাধিক। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের (২০ অক্টোবর) এ ঘটনাকে ‘সশস্ত্র বিদ্রোহ’ হিসেবে বর্ণণা করেছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সালেহ কেবজাবু।
কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, বিক্ষোভের সময় রাজধানী এনজামিনাসহ আরও কয়েকটি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নে নিহত হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
চাদ বর্তমানে সামরিক শাসনের অধীনে আছে। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবির মৃত্যুর পর থেকেই সংকটে আছে আফ্রিকার এই দেশটি।
দেবির ছেলে মোহামাত ইদ্রিস দেবি বাবার মৃত্যুর পরপরই ক্ষমতা দখল করেন। তিনি ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ১ অক্টোবর এক ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন আরও দুই বছর পিছিয়ে দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) প্রতিশ্রুত সেই ১৮ মাসের শেষ দিন ছিল। এদিন প্রতিবাদের ডাক দেয় দেশটির বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সরকার বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ২০ অক্টোবর সকাল থেকেই রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত সপ্তাহে ঐক্য সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া কেবজাবু বলেন, “আজ যা ঘটেছে তা জোর করে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে করা সশস্ত্র গণবিদ্রোহ। আর এই সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
তিনি বলেন, “বিক্ষোভকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। শুধু আত্মরক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী জবাব দিয়েছে।”
গত বছর মোহামাত দেবি ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই চাদে দাঙ্গা লেগে আছে। তবে ২০ অক্টোবরের এ ঘটনাকে সবচেয়ে নির্মম ও সহিংস বলে দাবি করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :