• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪৪ জন নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩, ১০:২৭ এএম
বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪৪ জন নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুটি গ্রামে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ হামলায় ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এ মারাত্মক হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন গভর্নর।

রোববার (৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কৌরাকাউ এবং টন্ডোবি গ্রামে জোড়া হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার শিকার ওই এলাকায় সহিংসতা খুবই সাধারণ বিষয় এবং কর্মকর্তারা এই হামলার জন্য ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’কে দায়ী করেছেন। মূলত আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সাথে যুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এই অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে।

সাহেল অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট-গভর্নর রোডলফ সোরঘো বলেছেন, ‘ঘৃণ্য ও বর্বর হামলার’ পেছনে থাকা হামলাকারীদের ‘সরিয়ে দেওয়া হয়েছে’। অন্যান্য গ্রামবাসীও হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে, তবে তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা স্পষ্ট নয়।

সোরঘো বলেছেন, “কৌরাকাউ গ্রামে ৩১ জন এবং টন্ডোবিতে ১৩ জন নিহত হয়েছে। হামলার পর পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কাজ চলছে।”

বার্তাসংস্থা এএফপিকে স্থানীয় একজন বলেছেন, হামলার সময় বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী গ্রামে ঢুকে পড়ে। তিনি সারা রাত ধরে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালে আমরা দেখি, রাতে হওয়া হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে।”

এএফপি বলছে, কয়েকদিন আগে গবাদি পশু চুরির চেষ্টাকারী দুই সন্ত্রাসীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতের এই হত্যাকাণ্ডটি সেতেঙ্গা গ্রামের কাছে ঘটে, যেখানে গত জুন মাসে কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছিলেন।

বুরকিনা ফাসো এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো ২০১৩ সাল থেকে জিহাদি বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছে। সংকটের সময় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সহিংসতার কারণে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া গত এক দশকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সহিংসতা অনেক বেড়েছে এবং জোরালো হয়েছে। আর এতে প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

Link copied!