ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
শনিবার (১৪ জুন) ভোর রাতে এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রাণকেন্দ্র ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল। এই ঘটনার পরই ইরান পাল্টা জবাব দেয়।
ইসরায়েল এসব হামলায় যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি আগে থেকে ইরানে চোরাপথে প্রবেশ করানো ড্রোনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের দূত বলেছেন, এসব হামলায় মোট ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আরও কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই এই ব্যাপক হামলা চালানো জরুরি ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামলার আগে তেহরান এমন কোনো অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টায় সক্রিয় ছিল না।
ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথমে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর পর ইসরায়েলের দিকে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এই হামলা চলাকালে জেরুজালেম ও তেল আবিবের আকাশ অন্ধকারের মধ্যেও বিস্ফোরণের আলোয় ঝলমল করে ওঠে এবং নিচের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে।
হামলাকে কেন্দ্র করে সাধারণ নাগরিকদের কয়েক ঘণ্টা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের আহ্বান জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।