• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

গ্রেনেড হামলায় গাজায় ২৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
গ্রেনেড হামলায় গাজায় ২৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে তিন মাস ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন ইসরায়েলের সেনাসদস্যরা। এতে অন্তত ২৪ সেনা নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি বলেন, মধ্য গাজার দুটি ভবন উড়িয়ে দিতে ইসরায়েলি সেনাসদস্যেরা বিস্ফোরক প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি ট্যাংকের কাছে রকেটচালিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। একসঙ্গে গ্রেনেড আর বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে ভবন ধসে পড়ে। এতে ভবনের ভেতরে থাকা সেনাসদস্যরাও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার ক্ষমতাসীন হামাসকে নিশ্চিহ্ন এবং শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। নেতানিয়াহুর এই দুই লক্ষ্যের কোনোটিই আদৌ অর্জন করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে ইসরায়েলিদের মধ্যে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে।

হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলিদের পরিবার ও তাদের সমর্থকেরা যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে নেতানিয়াহু সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, হামাসের হাতে বন্দী স্বজনদের জীবিত ফেরত পাওয়ার সময় ফুরিয়ে আসছে।

হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গত বছরের ৭ অক্টোবর । এতে ১ হাজার ২০০–এর বেশি ইসরায়েলি নিহত হন। এ সময় হামাস আরও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায়। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে এবং ইসরায়েল ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে। ইসরায়েলে হামলায় ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: আল-জাজিরা

Link copied!