• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ধর্ষণ-নির্যাতনে ১৭ জন নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ধর্ষণ-নির্যাতনে ১৭ জন নিহত

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির দুটি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে ধর্ষণ, শিরচ্ছেদসহ ১৭ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই বছর আগে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ক্রমাগত যুদ্ধাপরাধ করছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মার্কিন সংবাদ মাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সৈন্যরা সম্প্রতি দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের নিয়াং ইয়িন এবং টার তাইং নামক গ্রামে তাণ্ডব চালায়। পরে সেখান থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে সরকার বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন।

এছাড়া স্ত্রীকে হারানো একজন বাসিন্দাও এ কথা জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের ধারণ ওই ১৭ জনকে হত্যার আগে সামরিক বাহিনী আটক করে নির্যাতন চালিয়েছে।

এপি বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যপক সংহিতপন্থা অবলম্বন করে। এছাড়া বিক্ষোভ দমনের সময় সৃষ্ট সহিংসতা মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে সশস্ত্র প্রতিরোধের সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা একে গৃহযুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারবিরোধী গণতন্ত্রপন্থি পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’র স্থানীয় নেতারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহের এই হামলায় জড়িত সৈন্যরা ৯০ জনেরও বড় একটি দল ছিল।২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি হেলিকপ্টারে করে এসব সৈন্যকে ওই এলাকায় আনা হয়। গত বৃহস্পতিবার নিয়াং ইয়িনের একটি নদীর মধ্যে অবস্থিত ছোট দ্বীপে তিন নারীসহ ১৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর দুই সদস্যসহ টার তাইংয়ে আরও তিনজন পুরুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। ওই দু’জনের মধ্যে একজনের মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।

পাশাপাশি অবস্থিত এই দু’টি গ্রাম মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার (২৮ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত।

৪২ বছর বয়সী মো কিয়াও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই আক্রমণ থেকে বেঁচে যান। তিনি নিজে বাঁচলেও তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী প্যান থাওয়াল এবং ১৮ বছর বয়সী ভাতিজা সেনা সদস্যদের হামলায় নিহত হয়েছেন

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৭ সালে রাখাইনে নৃশংস জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ৭ লাখরেও বেশি সদস্য নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

Link copied!